Jalpaiguri: সাগরদিঘির মতো হবে নাকি? ভোটের লাইনে ধূপগুড়ি

বাম জমানার পরেও সিপি়আইএম দখলেই ছিল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ধূপগুড়ি। ২০১৬ সাল থেকে তৃণমূল আর ২০২৩ সালে বিজেপির দখলে চলে গেছিল এই আসনটি। বিধায়ক বিষ্ণুপদ…

বাম জমানার পরেও সিপি়আইএম দখলেই ছিল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ধূপগুড়ি। ২০১৬ সাল থেকে তৃণমূল আর ২০২৩ সালে বিজেপির দখলে চলে গেছিল এই আসনটি। বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যুতে উপনির্বাচন হচ্ছে তপশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত এই বিধানসভা আসনে। ২৫ জুলাই তিনি প্রয়াত হন। মঙ্গলবার উপনির্বাচন। ভোটের লাইনে ধূপগুড়িবাসী। উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। তিনি অধ্যাপক। সিপিএম-কংগ্রেস জোটের ঈশ্বরচন্দ্র রায়। তিনি এলাকার জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত গায়ক। বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়। তিনি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় নিহত সিআরপিএফ জওয়ান জগন্নাথ রায়ের স্ত্রী। । এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ২ লক্ষ ৬৮ হাজারের বেশি ভোটদাতা ২৬০টি বুথে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন।

ধূপগুড়ি যেহেতু জঙ্গল এলাকা তার আশেপাশের চা বাগান রয়েছে তাই যেকোনো সময় হাতি বা বিভিন্ন জন্তু আসতে পারে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন বিশেষ নজর দিয়েছে। বৈঠক করা হয়েছে বনদফতরের সঙ্গে যাতে ভোট কর্মীদের কোনও রকম সমস্যায় পড়তে না হয়। এবার ৫ তারিখের ভোটের পর ৮ তারিখে কি রায় দেয় ধূপগুড়ির বাসিন্দারা সেই দিকেই থাকবে ফোকাস।ভোটগ্রহণ, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ রাখতে ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নজরদারির জন্য একজন সাধারণ পর্যবেক্ষকের পাশাপাশি একজন করে পুলিশ ও ব্যয় পর্যবেক্ষকও থাকবেন।  এই উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোট ৭২টি বুথ রয়েছে এবং তা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এছাড়াও নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাথে  থাকছে রাজ্য পুলিশ। এই উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে।

রাজনৈতিক মহলের আলোচনা, ধূপগুড়ির ভোটে  দুর্নীতির ইস্যু, তৃণমূল বিজেপির গোষ্ঠিবাজির প্রভাব পড়তে পারে।  তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এর জেরে বিজেপির শতাধিক সমর্থক দলত্যাগ করে যোগ দেন তৃণমূলে। দুপক্ষের তীব্র গোষ্ঠিবাজি চলছে। তুলনায় বাম শিবির সংযত। তবে তাদের তাড়া করছে জাতীয়স্তরে ইন্ডিয়া জোটের ভূত। সেই জোটে তৃণমূল সামিল। তবে রাজ্য সিপিআরএম নেতাদের দাবি, এখানে কোনও ইন্ডিয়া জোট নেই! ভোটের আলোচনায় উঠে আসছে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির মতো  জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে চমক থাকতে পারে।  কারণ, সাগরদিঘির ফলাফলে কংগ্রেস ও বাম জোট জয়ী হয়েছিল। শাসকপক্ষ তৃণমূলের এই পরাজয়কে সাগরদিঘি মডেল বলে প্রচার ছিল তু়ঙ্গে। পরে জয়ী প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেন।