Malda: মালদায় গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে গেল বাড়ি, বিক্ষোভের মুখে বিধায়ক

ফের ভাঙনের কবলে মালদার রতুয়া। গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক পাকা বাড়ি। রতুয়া এক ব্লকের দু হাজারের বেশি পরিবার গৃহহীন। ভাঙন পরিদর্শনে গিয়ে…

ফের ভাঙনের কবলে মালদার রতুয়া। গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক পাকা বাড়ি। রতুয়া এক ব্লকের দু হাজারের বেশি পরিবার গৃহহীন। ভাঙন পরিদর্শনে গিয়ে রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বরা পড়ে বিক্ষোভের মুখে।

গতকাল থেকে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে গঙ্গা নদী। অবাধে চলছে নদী ভাঙন। যার ফলে নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে ৩০ টি বাড়ি। গোটা এলাকা জুড়ে নজরে আসছে মানুষের হাহাকার। গৃহহীন হয়ে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি তেমন কোনও উদ্যোগ। তাই অসহায় মানুষেরা নিজেরাই তাদের বাড়ি ভাঙছেন। সকাল থেকে সামান্য খাবার পর্যন্ত তাদের জোটেনি। এর সঙ্গেই রয়েছে পানীয় জলের সমস্যা।

   

এই নদী ভাঙনের সমস্যা দীর্ঘদিনের। শাসক দলের যে সকল প্রতিনিধিরা রয়েছেন তারা বারংবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়। তবে বাস্তবায়িত হয় না একটিও প্রতিশ্রুতি। এই ভয়ংকর ঘটনা ঘটার পর যখন সাধারণ মানুষ তাদের মাথার ছাদ হারিয়েছেন তখন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন তৃণমূলে নেতা-নেত্রীরা।

এই ঘটনার পর রীতিমত কবে করছেন সাধারণ মানুষ। এবং তারা বিক্ষোভ শুরু করে। কেন্দ্র দোষ দিচ্ছে রাজ্য সরকারের ওপর আবার রাজ্য সরকার দোষ দিচ্ছে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না সেই বিষয়। এই দোষের জেরে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। তাদের এই প্রত্যেক বছরের নদী ভাঙনের ধকল সামলাতে হয় তার উপরে তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা করছে না রাজ্য সরকার।

গতকাল সকাল এগারোটা থেকে শুরু হয়েছে ভাঙন যা আজও অব্যাহত। গত বছর থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ভাঙন রোধ করার ব্যবস্থা করা হবে তবে আজ পর্যন্ত মেলেনি সুরাহা। এলাকাবাসীর কোন কথাতেই কর্ণপাত করেননি এলাকার নেতা-নেত্রীরা। যখন শুরু হয় ভাঙন তখন কয়েকটি বালির বস্তা দিয়ে চাপা দেওয়া হয়। তবে সঠিকভাবে পূর্ণ ভাঙন বন্ধ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। ফলে ক্ষোভে বিক্ষোভ শুরু করে সাধারণ মানুষ।