Malda: মালদার গ্রামে গ্রামে পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারে হাহাকার, মমতা আসেননি এলেন রাজ্যপাল

মিজোরামে নির্মীয়মান রেল সেতু ভেঙে মালদার পুখুরিয়া থানার কয়েকটি গ্রামের মোট ২৪ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গ্রামে গ্রামে কান্না ও হাহাকার। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের…

rajyapal

মিজোরামে নির্মীয়মান রেল সেতু ভেঙে মালদার পুখুরিয়া থানার কয়েকটি গ্রামের মোট ২৪ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গ্রামে গ্রামে কান্না ও হাহাকার। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যে কর্মসংস্থানের অভাব নিয়ে বিতর্ক তীব্র। অভিযোগ, কাজ নেই তাই অন্য রাজ্যে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। মালদার বহু শ্রমিক মিজোরামে কাজ করেছিলেন। রেল সেতু ভেঙে তাদের অনেকেই নিহত। সেই নিহতদের পরিবারের কাছে পৌঁছতে জেলায় এলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী আসার সময় পাননি।

গত ২৩ আগস্ট দেশবাসী চন্দ্রযান ৩ এর সফল অভিযান নিয়ে ছিলেন মাতোয়ারা। সেই দিনই মিজেরামে নির্মিয়মান রেল সেতু ভেঙে পড়েছিল। উত্তর পূর্ব রেলের উদ্যোগে মিজোরামের সাইরাংয়ে পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে ১০৪ ফুট উঁচু সেতুটি তৈরি নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন উচ্ছসিত। সেই সেতু তৈরির আগে ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় কর্মরত শ্রমিকরা চাপা পড়েন। তাদের মধ্যে ২৪ জন মৃত। এই মৃত শ্রমিকদের সবাই মালদার পুখুরিয়া থানার বাসিন্দা।

এত সংখ্যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর পর গ্রামগুলিতে যান সিপিআইএমের শ্রমিক শাখা সিটুর প্রতিনিধিরা। এর পর যান মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মিজোরাম সরকারের সাথে বিশেষ যোগাযোগ করে নিহতদের দেহ আনা হচ্ছে। গ্রামগুলিতে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তবে মুখ্যমন্ত্রী এখনও যাননি বলে প্রশ্ন উঠছে। এই বিতর্কের মাঝে মালদা সফরে রাজ্যপাল।

নবান্ন সূত্রে খবর নিহত শ্রমিকদের দেহ মিজোরাম থেকে আনার প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে মালদার পুখুরিয়া থানার একাধিক গ্রামে মৃত শ্রমিকদের পরিবারগুলিতে চলছে হাহাকার।

মিজোরামের রাজধানী আইজল থেকে প্রায় ২১ কিলোমিটার দূরে সাইরাং এলাকায় নির্মাণাধীন রেলওয়ে সেতু ভেঙে পড়েছে। ঘন জঙ্গল ও পাহাড়ি এলাকার মধ্যে দিয়ে ১০৪ মিটার উঁচু এই রেল সেতু বানানো নিয়ে প্রযুক্তির সাফল্য বলে বারবার দাবি করেছিল বিজেপি নেতৃত্বে এনডিএ সরকার। বলা হয়েছিল, সেতুটি দিয়ে রেল যোগাযোগে দুর্গম উত্তর পূর্বাঞ্চলকে নতুন দিশা দেখানো হল। সম্পূর্ণ তৈরি হওয়ার আগে সেই সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় বিতর্কে মোদী সরকারও।