Jalpaiguri: প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক গেলেন বিজেপিতে, ধূপগুড়িতে বাম কর্মীরা ফের চাঙ্গা

ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন মঙ্গলবার।তার আগেই তৃ়নমূলে ছন্দপতন। দল ছেড়ে বিজেপিতে গেলেন প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়। জলপাইগুড়ি জেলার (Jalpaiguri) এই কেন্দ্রে ত্রিমুখী লড়াই কি এবার দ্বিমুখী? মিতালির…

ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন মঙ্গলবার।তার আগেই তৃ়নমূলে ছন্দপতন। দল ছেড়ে বিজেপিতে গেলেন প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়। জলপাইগুড়ি জেলার (Jalpaiguri) এই কেন্দ্রে ত্রিমুখী লড়াই কি এবার দ্বিমুখী? মিতালির দলত্যাগের পর প্রশ্ন জোরালো। ধূপগুড়িতে গত ভোটে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। বিধায়কের প্রয়াণে হচ্ছে ভোট।

ধূপগুড়িতে তৃণমূল, বিজেপি ও বামফ্রন্টের লড়াই হলেও প্রাক্তন তৃ়ণমূল বিধায়কের দলত্যাগ, বিজেপির গোষ্ঠিবাজি প্রবল। এর মাঝে আসছে বামফ্রন্টের প্রসঙ্গ। ধূপগুড়িতে কি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির মতো কিছু ঘটতে চলেছে ? উঠছে এই প্রশ্ন। উপনির্বাচনে সাগরদিঘিতে বাম-কংগ্রেস জোট জয়ী হয়েছিল। পরে বিধায়ক তৃণমূলে চলে যান।

মাত্র কিছু সময় বাকি রয়েছে ধুপগুড়ি উপনির্বাচনের। আজকেই প্রচারের শেষ দিন। তার আগেই বড় ফাটল শাসকদলের শিবিরে। এই নির্বাচন শুধু এক সামান্য নির্বাচন নয় বরং প্রত্যেকটি দলের কাছে এক আত্মসম্মানের লড়াই। এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন প্রচারের জন্য ধুপগুড়িতে যায় সেই সময় মঞ্চে দেখা যায় মিতালি রায়কে। অথচ তারপরেই বদলে গেল গোটা ছবি। তৃণমূলকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন মিতালি রায়। এ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন তিনি।  মিতালি রায় জানিয়েছেন, ” আমার লড়াই সংগ্রামের জীবন। সুখের মানুষ আমি নই। আমি লড়াই করতে ভালোবাসি তাই যেখানে কাজের সুযোগ পাবো সেখানেই যাব। আমার যে কাজ করার পরিবেশ সেটাই এতদিন পাইনি। ২০২১ এ ভোটে পরাজিত হওয়ার পর মিতালী রায়ের অবস্থানটা তৃণমূলে কোথায়? আমার মত এমন রাজনৈতিক মানুষকে তারা যদি ব্যবহার করতে না পারে তাহলে সেটা দল জানেন। কেনও আমি ঘরে বসে থাকব?

স্বাভাবিকভাবে মিতালি রায়ের তৃণমূল ত্যাগে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এ বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ” মিতালি তার মেরুদন্ড সোজা রেখে আসতে পেরেছে এটা খুব ভালো। আমার সঙ্গে অভিষেক ব্যানার্জীর সভাতে যাওয়ার আগেও কথা বলে গিয়েছে। যে দাদা যেতে হচ্ছে পুলিশের খুব চাপ আছে। আর কাল রাতে আমার ফোন করেছে যে দাদা আমি কি করব? তখন আমি বললাম জয়েন করে যান। প্রায় ১৫ দিন ধরে তিনি আমাদের বিধায়ক অসীম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন”।

মিতালি রায়ের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যাওয়ার বিষয়ে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মিতালি রায় এক সময় আলাদা রাজ্যের কথা বলতেন। তারপরেও মমতা ব্যানার্জি নেতৃত্বে তিনি তৃণমূল। অর্থাৎ তৃণমূল তাকে সুযোগ দিয়েছে তাই তৃণমূলের এখন প্রশ্ন করার কোনও জায়গা নেই। অন্যদিকে বিজেপির দীপেন প্রামানিক একইভাবে তৃণমূলে এসে গিয়েছে। তিনি যদি আলাদা রাজ্যের কথা বলেন তাহলে তাকে একই সঙ্গে প্রশ্রয় দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি এবং অমিত শাহ। তৃণমূল বিজেপি মূলগত গড়নে কোনও ফারাক নেই। মানুষের স্বার্থে লড়াই বামপন্থীরা”।

মিতালি রায়ের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার বিষয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ জানিয়েছেন, ” মিতালি রায় গতকাল মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করার আবেদন জানিয়েছে। দল তাকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করেননি সেই ক্ষোভে হয়ত তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই ধরনের কোনও খবর আমার কাছে নেই। যে মিতালি রায় দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছে। কারণ গতকালও তিনি আমাদের সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন। যদি ধূপগুড়ির মানুষ ভালো স্বাস্থ্য পরিষেবার বদলে মিতালি রায়কে চান তাহলে প্রভাব পড়তে পারে।