Siliguri: গণপদত্যাগ রুখতে সুকান্তর অভিযান, বিভীষণের খোঁজে ‘বিজেপির গোয়েন্দা’

উত্তরবঙ্গে বিজেপিতে চলছে বালী-সুগ্রীব লড়াই। দলটির অন্দরে গোষ্ঠিদ্বন্দ্বকে এমনইভাবে চিহ্নিত করা হয় শিলিগুড়ির (Siliguri) পদ্মফুল শিবিরে (BJP) ফের ভাঙন। দার্জিলিং জেলা কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন…

Dilip ghosh facing political threat in bjp's inner party conflict

উত্তরবঙ্গে বিজেপিতে চলছে বালী-সুগ্রীব লড়াই। দলটির অন্দরে গোষ্ঠিদ্বন্দ্বকে এমনইভাবে চিহ্নিত করা হয় শিলিগুড়ির (Siliguri) পদ্মফুল শিবিরে (BJP) ফের ভাঙন। দার্জিলিং জেলা কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিধায়ক। সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকেও দিয়েছেন ইস্তফা। গণপদত্যাগ শুরু হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। পরিস্থিতি ঠেকাতে তড়িঘড়ি শিলিগুড়ি যাচ্ছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।২৮ আগস্ট শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি। সেখানে দুপক্ষকে নিয়েই বসবে বৈঠক।

দার্জিলিংয়ের ৩০ জন নেতা পদত্যাগ করেছেন। এবার ধস নামল শিলিগুড়িতে। শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে বারংবার বলা হয়েছে সংগঠনের দিকে জোর দিতে। সেখানে প্রতিনিয়ত নজরে আসছে একাধিক গোষ্ঠী কোন্দল। লোকসভা ভোটের আগে ভাঙছে জোট। দার্জিলিং জেলার ফাঁসিদেওয়ার বিধায়ক দুর্গা মুর্মু তার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে দুপক্ষকে নিয়ে সকল বিষয় মিটিয়ে দেওয়ার জন্য আগামী ২৮ তারিখে শিলিগুড়িতে আসবেন সুকান্ত মজুমদার। সেখানে বসানো হবে বৈঠক। ।এখন নজরে ২৮ তারিখের বৈঠক। বৈঠক যদি সফল না হয় তাহলে বিজেপির গড় উত্তরবঙ্গে এক বড় লোকসান বইতে হবে আগামী লোকসভায় বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা। কার উস্কানিতে এমন পরিস্থিতি জানতে দলীয়স্তরে অনুসন্ধান চালাবে রাজ্য বিজেপি

উত্তরবঙ্গে পদত্যাগের হিড়িক পদ্মফুল শিবিরে। দল ছাড়ছেন শতাধিক। ফাঁকা হচ্ছে পদ্ম শিবির। একের পর এক দল ছাড়ছেন কর্মীরা। দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়িতে পদত্যাগের হিড়িক। দল ছাড়লেন প্রায় শতাধিক কর্মীরা। সংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ফাঁসিদেওয়ার বিধায়ক দুর্গা মুর্মু। এর আগে শিলিগুড়ি সংগঠনিক জেলার ৪ সহ সভাপতি সহ, মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী সহ একাধিক বিজেপি কর্মী তাদের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এবার ফের দলের কর্মীরা দল ছাড়ার ঘটনা সামনে আসছে।

গত বিধানসভা ভোটে শিলিগুড়িতে জয়ী হয় বিজেপি। সিপিআইএম ছেড়ে বিজেপির বিধায়ক হন শংকর ঘোষ। তিনিও এই গণপদত্যাগের ধাক্কায় বেসামাল। শিলিগুড়িতে পদ্ম শিবিরে পদত্যাগের হিড়িক দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। দল ছেড়েছেন শতাধিক কর্মীরা। এর পেছনে কি বিরোধীদের চক্রান্ত? নাকি দলের মধ্যে থাকা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? প্রশ্ন উঠছে একাধিক। তবে এখনও মেলেনি দলের পক্ষ থেকে কোনও সদুত্তর।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপির একাধিক কর্মী সমর্থকরা দল ছেড়ে তৃণমূল কিংবা কংগ্রেসের যোগদান করেছিলেন। পদ্মফুল ছেড়ে দলে দলে ভিড় জমিয়েছিলেন ঘাসফুল শিবিরে। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। এবার দল ছাড়ার হিড়িক যেন ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।