Raiganj: ভোটের আগেই ভোট! তৃণমূল প্রতীকে ছাপ মারা ব্যালট উদ্ধার

রক্তাক্ত গ্রাম বাংলার ভোট। চলছে বুথ লুঠ, খুন। ছাপ্পা ভোটে অভিযুক্ত শাসকদল তৃ়ণমূল কংগ্রেস। এ ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। অভিযোগ, শুক্রবারই ব্যালট লু়ঠ করা হয়। …

রক্তাক্ত গ্রাম বাংলার ভোট। চলছে বুথ লুঠ, খুন। ছাপ্পা ভোটে অভিযুক্ত শাসকদল তৃ়ণমূল কংগ্রেস। এ ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। অভিযোগ, শুক্রবারই ব্যালট লু়ঠ করা হয়।  রায়গঞ্জের দুর্গাপুর অঞ্চলের বোষ্টমতলা বুথে ভোট শুরু হতেই দেখা যায় তৃণমূল প্রতীকে ভোট পড়া ব্যালট।  একাধিক ব্যালটে তৃণমূলের প্রতীকে ছাপ দেওয়া রয়েছে।

উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর তীব্র উত্তপ্ত। তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী নিজের দলের বিরুদ্ধেই নেমেছেন। তিনি বলেছেন প্রশাসনহীন ভোট প্রবল সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকবে। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা থেকে ভোট লুঠের অভিযোগ আসছে। কোচবিহারে প্রবল ভোট সন্ত্রাস চলছে। সিতাই সরগরম।

ভোট রুখতে হিংসা  নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপালে। সন্ত্রাসমুক্ত পঞ্চায়েত ভোট করতে হবে, ভোটাধিকার যেন সুরক্ষিত থাকে এমন বার্তা প্রশাসনকে দেন তিনি। তাঁর আবেদন অকার্যকর বলেই প্রমাণ হয়েছে ভোটের সকালে।

তিস্তা তীর থেকে রায়মঙ্গলের তীর পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোট আগেও রক্তাক্ত হয়েছে এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম বাংলার গরম মেজাজের ভোট। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটে একের পর এক রাজনৈতিক খুন, বোমা হামলা, গ্রাম দখলের রাজনৈতিক সংঘর্ষে সবকটি জেলা উত্তপ্ত।রক্তাক্ত ও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সরাসরি নির্বাচন কমিশনকেই তুলোধনা করেছেন। তাঁর নিশানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। কমিশনের সমালোচনা করছেন রাজ্যপালও বিতর্কে জড়িয়েছেন। কারণ, তিনিই রাজীব সিনহার নামে শিলমোহর দেন।

আলোচনায় উঠে আসছে পঞ্চায়েত ভোট আগেও রক্তাক্ত হয়েছে এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম বাংলার গরম মেজাজের ভোট। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটে একের পর এক রাজনৈতিক খুন, বোমা হামলা, গ্রাম দখলের রাজনৈতিক সংঘর্ষে সবকটি জেলা উত্তপ্ত।রক্তাক্ত ও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সরাসরি নির্বাচন কমিশনকেই তুলোধনা করেছেন। তাঁর নিশানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। কমিশনের সমালোচনা করছেন রাজ্যপালও বিতর্কে জড়িয়েছেন। কারণ, তিনিই রাজীব সিনহার নামে শিলমোহর দেন।

পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে মূল লড়াই কার? রাজনৈতিক মহলে এই আলোচনা তীব্র। বিশ্লেষকরা বলছেন, গত পঞ্চায়েত ভোটের সাথে এবারের ভোটের তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল বিজেপি কয়েকটি পকেট এলাকা ছাড়া গোটা রাজ্যে সাংগঠনিক দূর্বলতায় ভূগছে।

পঞ্চায়েত ভোটে শাসক ও বিরোধী শিবিরের একাধিক নেতার রাজনৈতিক শক্তির পরিচয় স্পষ্ট হবে। তেমনই আছেন বিরোধীদের কয়েকজন দাপুটে নেতা। শাসক শিবির তৃণমূলের রথী মহারখীদের মধ্যে কাজল শেখ, উদয়ন গুহ, সাবিনা ইয়াসমিন, আরাবুল ইসলাম, শওকত মোল্লা, অখিল গিরি উল্লেখযোগ্য। বিরোধী পক্ষ শুভেন্দু অধিকারী (বিজেপি), দিলীপ ঘোষ (বিজেপি), নিশীথ প্রামানিক(বিজেপি), অধীর চৌধুরী (কংগ্রেস), সুশান্ত ঘোষ (সিপিআইএম), নওশাদ সিদ্দিকি (আইএসএফ), দেবলীনা হেমব্রম (সিপিআইএম) এর নাম বিশেষ উল্লেখ্য।