Weather: ব্রাত্য কালবৈশাখী, ১২২ বছরে এমন আবহাওয়া দেখেনি রাজ্য

চৈত্র মাস শেষের দিকে। ইংরাজি ক্যালন্ডার অনুযায়ী মার্চ পেরিয়ে এপ্রিল। এখনও কালবৈশাখীর দেখা পেল না রাজ্য। গরম বাড়ছে। কিন্তু নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে না। আর হলেও…

চৈত্র মাস শেষের দিকে। ইংরাজি ক্যালন্ডার অনুযায়ী মার্চ পেরিয়ে এপ্রিল। এখনও কালবৈশাখীর দেখা পেল না রাজ্য। গরম বাড়ছে। কিন্তু নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে না। আর হলেও তা ঝড়-বৃষ্টি পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে না। গত ১২২ বছরে এই প্রথম। গোটা মার্চ মাসে ঝড় হল না, এমন পরিস্থিতি মোটেই স্বাভাবিক নয়। আর এর জন্য দায়ী গ্লোবাল ওয়ার্মিং। এমনই জানাচ্ছেন আবহবিদরা। এমন কোনও মার্চ মাস বাংলা দেখেনি, যখন কোনও ঝড় হয়নি।

আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ পরিমাণ ৮৫ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৫৮ শতাংশ। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে হতে পারে বর্জ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গে প্রধানত পরিষ্কার আকাশ।

এ বছর এখনও পর্যন্ত ২ টো নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যে কোনওটাই পশ্চিমবঙ্গে আসেনি। ছোটনাগপুর মালভূমিতে এ বছর কোনও নিম্নচাপ তৈরি হয়নি। কালবৈশাখীর অন্যতম উৎস ওই অঞ্চলেই। কিন্তু এ বছর খামখেয়ালি আবহাওয়ায় গরম বাড়লেও নিম্নচাপ তৈরি তো করেইনি। সাধারণত মার্চ মাসে পশ্চিমবঙ্গে ৪-৬টা কালবৈশাখী হয়। এপ্রিলেও সংখ্যাটা তেমনই থাকে। কিন্তু মার্চ পেরিয়ে গেল, কোনো কালবৈশাখী নেই। এপ্রিলের সূচনাতেও ঝড়ের পূর্বাভাস দিচ্ছে না হাওয়া অফিস।