Barasat Blast: ‘রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ জানতেন এই বাড়িতে বেআইনি বাজি তৈরি হয়।‘

রবিবার সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের নীলগঞ্জের মোছপোল। একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে পুলিশ সূত্রে খবর। বিস্ফোরনের ভয়াবহতা এতটাই তীব্র ছিল যে…

Barasat Blast: ‘রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ জানতেন এই বাড়িতে বেআইনি বাজি তৈরি হয়।‘

রবিবার সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের নীলগঞ্জের মোছপোল। একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে পুলিশ সূত্রে খবর। বিস্ফোরনের ভয়াবহতা এতটাই তীব্র ছিল যে চারিদিকে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে ছিল দেহ এবং দেহাংস। আশপাশের বাড়িগুলিতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। ঘটনার পরই স্থানীয়রা ক্ষোভ উগরে দেন। সরাসরি আঙুল তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষের দিকে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, “পুলিশ প্রশাসন থেকে রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ জানতেন এই বাড়ি বেআইনি বাজি তৈরি হয়।“ তারা দাবি করেন যে যে বাড়িতে এই বেআইনি বাজি তৈরি হত সেই বাড়ির মালিককে নাকি তাঁরা বারংবার বলেছিলেন পাড়ার মধ্যে এই ধরনের কারখানা না করতে। এখানে না করে এলাকার বাইরে অন্য কোন জায়গায় করতে। কিন্তু সে কথা শোনা হয়নি বলেই অভিযোগ।

এলাকার তৃণমূলের নেতা বাবলা রায় জানিয়েছেন যে, “এখানে বাজি কারখানার আড়ালে বোমা কারখানার চলত। পুলিশ সব জানত। আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলেন, “ওটা বাজি কারখানা নয়। ওটা বোমা কারখানা।” এছাড়াও তিনি জানান, “আমি মিটিং করে পুলিশের আইসি কে বলেছিলাম আপনারা অবিলম্বে এই কারখানা বন্ধ করুন। সেলিম আলি এই কাজ করছে। ওর নাম করে বলেছিলাম। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি। ওখানে আলু বোমা তৈরি হচ্ছিল। বাজির কোনও সম্পর্কই নেই।”

Advertisements

অপর দিকে রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ দাবি করেছেন যে মোছপোলে বাজি কারখানা রয়েছে সে বিষয়টি তিনি জানতেন না। তিনি জানান, “বলেছেন,”আজকের ঘটনার পর আমি জানতে পেরেছি।”