Nilganj Blast: ফের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। একাধিক কর্মীর মৃত্যুর আশঙ্কা এই বিস্ফোরণে। আহত বহু কর্মী। যোগ শাসকদলের নেতা নেত্রীদের। ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি বাড়ি। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত নীলগঞ্জে ভয়াবহ পরিস্থিতি।
দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ।ধূলিসাৎ গোটা বাড়ি। চারিদিক থেকে ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার। বাড়ির ছাদ দুমড়ে-মুচড়ে পড়েছে। বাড়ির মালিকের নাম কেরামত আলীর। এখনো পর্যন্ত উদ্ধার পনেরোটি দেহ। আরো দেহ মেলার আশঙ্কা।
ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছে বহু মানুষ। তার মধ্যে রয়েছে তিনটি শিশু। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এমনকি ছাদের উপরে দেখা যাচ্ছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দেহ। ঘটনাস্থলে উত্তপ্ত এলাকাবাসী। ইট পাটকেল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ৷
ঘটনাস্থলে মোতায়ন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। দমকল বাহিনী পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে। পার্শ্ববর্তী আরও বেশ কয়েকটি বাড়িতে মিলেছে বাজি তৈরির মসলা। বিস্ফোরণে ধূলিসাৎ দোতলা বাড়ি।
এলাকাবাসীদের দাবি, এর আগে বহুবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয় এই বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে। এখানে তৈরি হতো বেআইনি ভাবে বোমা। তবে প্রশাসনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। উপরন্তু তৃণমূলের বহু নেতা নেত্রীরা এই কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক দলের মদতেই চলত এই বেআইনি বাজি কারখানার ভিতরে বোমা তৈরির কাজ।
অভিযোগ শামসুল নামের এক ব্যক্তি এই বাড়ি ভাড়া দিয়ে রেখেছিল। এবং তার বাড়িতেই চলত বেআইনি বাজি তৈরীর কর্মকাণ্ড। এর সঙ্গে এই বাঁশবাগানে তারা অস্থায়ী ছাউনী তৈরি করে, প্রশাসনের মদতে বাজি তৈরির কাজ চালাতো। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বারুদ।
চারিদিকে মৃত্যু মিছিল। এগরার ছোঁয়া দত্তপুকুরে। দত্তপুকুরের ‘ ভানু ‘ কে? এই নিয়ে উঠছে হাজার প্রশ্ন। ফের বেআইনি বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযোগের তির শাসকদলের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা নেত্রীরা এই বেআইনি বাজি কারখানায় টাকা দিত। এমনকি এই বাজির পিছনে তৈরি বোমা যোগান দেওয়া হতো শাসকদলের কাছে।