Nandigram: নিয়োগ দুর্নীতির চাদরে ঢেকেছে শুভেন্দুর কেন্দ্র নন্দীগ্রাম

বিধানসভা নির্বাচনে আলোচনার মধ্যমণি হয়েছিল নন্দীগ্রাম৷ এই নন্দীগ্রাম (Nandigram) থেকেই নির্বাচনে হেরেছিলেন তিনি। জয়ী বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী এখন বিরোধী দলনেতা। তাঁর বিধানসভায় এলাকায় নিয়োগ দুর্নীতির…

suvendu adhikari

বিধানসভা নির্বাচনে আলোচনার মধ্যমণি হয়েছিল নন্দীগ্রাম৷ এই নন্দীগ্রাম (Nandigram) থেকেই নির্বাচনে হেরেছিলেন তিনি। জয়ী বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী এখন বিরোধী দলনেতা। তাঁর বিধানসভায় এলাকায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ও তথ্য সামনে আসছে। বিরোধী দলনেতা কি কিছুই জানতেন না ? উঠছে প্রশ্ন।

সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল নন্দীগ্রামের এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ, একাধিক চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে লক্ষাধিক করে টাকা নিয়েছে তৃণমূল নেতারা৷ আরও অভিযোগ, নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক ও প্রাক্তন তৃণমূলী শুভেন্দু অধিকারীর সেটি নজর এড়িয়ে গেছে।

অভিযোগ, বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়েও অনেককেই চাকরি পাননি। অথচ জমি, সোনার গয়না বন্ধক রেখে টাকা জোগাড় করতে হয়েছিল তাদেরকে৷ এখন চাকরি না পেয়ে বিপদে পড়েছেন চাকরি প্রার্থীরা৷ সংসার চালাতে পাড়ি দিতে হয়েছে ভিন রাজ্যে।

আরও অভিযোগ, টাকা চাইতে গেলেও বারবার প্রভাবশালী নেতাদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে।

যদিও এই ঘটনা নতুন কিছু নয় বলে দাবি করছেন স্থানীয় মানুষজন। কারণ, কয়েকমাস আগেই দুর্নীতির এই ছবিটা স্পষ্ট হয়েছে৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বেআইনি নিয়োগের জন্য ২৬৯ জন কর্মরত শিক্ষকদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছিলেন নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষা সঞ্চিতা প্রধান৷ তিনিও চাকরি হারিয়েছেন৷

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর রাজ্যজুড়ে দুর্নীতির খোলস ক্রমশ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। এবার ইডি নজর পড়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ নেতাদের ওপরেই। নন্দীগ্রাম থেকেও আগামী দিনে বেশ কয়েকজন নেতাকে তলব করা হতে পারে৷ এমন আশঙ্কা আরও জোরালো হচ্ছে৷