Paschim Bardhaman: দুর্গাপুরে হোস্টেলে ছাত্রের মৃত্যু, পিতার দাবি পরিকল্পিত খুন

দুর্গাপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় খুনের অভিযোগ করলেন নিহত ছাত্রের বাবা। কলেজের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ সন্তানহারা পিতা।…

দুর্গাপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় খুনের অভিযোগ করলেন নিহত ছাত্রের বাবা। কলেজের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ সন্তানহারা পিতা। তাঁর ছেলে আত্মহত্যা করতেই পারেনা, স্পষ্ট দাবি করেছেন তিনি। ছেলে খুন হয়েছে কিনা সেটা পুলিশ খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন নিহত সৌরভের বাবা।

নিহত ছাত্রের বাবা সুরিন্দর রায় বলেছেন, “কোথায় ছেলের দেহ উদ্ধার হল কিছুই জানি না। আমরা যে দুর্গাপুরে রয়েছি, কর্তৃপক্ষ সেটা জানত। থানায় তো আগেই নিখোঁজ ডায়েরিও করি। অথচ দেহ প্রথমে দেখায়নি পর্যন্ত। কোথা থেকে সেই দেহ উদ্ধার হল কিছুই জানি না। এটা কলেজের স্বেচ্ছাচারিতা ছাড়া আর কিছুই বলার নেই।” শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে এমনটাই দাবি করেন শোকাতুর সুরিন্দর বাবু।

বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্গাপুরের বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেল থেকে উদ্ধার হয় বিটেক কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সৌরভকুমার রায়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ। ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় কলেজের সত্যেন বোস বয়েজ হস্টেলের চার তলায় ৩১৬ নম্বর রুম থেকে।

শোকে বিহ্বল বাবা আরও জানান যে ২৩ শে আগস্ট কলেজের তরফ থেকে তাকে ফোনের মাধ্যমে বলা হয় যে ছেলে নিখোঁজ। খবর পেয়েই তিনি বিহারের ভাগলপুর থেকে দুর্গাপুর চলে আসেন তৎক্ষণাৎ। এরপর তিনি বৃহস্পতিবারই নিউটাউনশিপ থানায় মিসিং ডায়েরি দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগ দায়ের করার পরই তিনি জানতে পারেন যে ছেলের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এমনটাই দাবি করেন সৌরভের বাবা। তিনি বলেন যে ছেলের দেহ উদ্ধারের খবর জানতে পারলেও কোথা থেকে এবং কীভাবে দেহ উদ্ধার হয়েছে তা তাঁকে জানানো হয়নি।

জানা গিয়েছে যে হস্টেলের তৃতীয় তলায় সৌরভের রুম কিন্তু তাঁর দেহ উদ্ধার হয় চতুর্থ তলার একটি তালাবন্ধ ফাঁকা ঘর থেকে। কীভাবে সৌরভ সেই ঘরে পোঁছলেরন, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। সৌরভের বাবা দাবি করেছেন যে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সামনে আসুক। যথাযথ তদন্ত করা হোক। শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গ থেকে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।