Durand Cup: গোকুলামকে হারিয়ে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল

নির্ধারিত সূচি অনুসারে আজ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে শক্তিশালী গোকুলাম কেরালা দলের মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।

East Bengal FC emerge victorious and march onto the semi finals

জয়ের ধারা অব্যাহত। সময় এগোনোর সাথে সাথেই নিজেদের পুরোনো ছন্দে ফিরছে লাল-হলুদ (East Bengal) ব্রিগেড। নির্ধারিত সূচি অনুসারে আজ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে শক্তিশালী গোকুলাম কেরালা দলের মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। নির্ধারিত সময়ের শেষে ২-১ গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচ জিতে নিল ময়দানের এই প্রধান।

দলের হয়ে গোল করেন জর্ডন এলসে ও একটি আত্মঘাতী গোল আমিনৌ বৌবার। এমনকি প্রতিপক্ষ দলের হয়ে ও একটি মাত্র গোল করেছেন এই বৌবা। আজকের এই জয়ের ফলে এবারের এই ঐতিহ্যবাহী কাপ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে নিজেদের স্থান করে নিল ইস্টবেঙ্গল। যেখানে তাদের লড়াই করতে হবে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের সঙ্গে।

উল্লেখ্য, এই ডুরান্ড কাপের শুরুটা খুব একটা সুখকর না হলেও ডার্বি ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে লাল-হলুদ ব্রিগেড। শক্তিশালী মোহনবাগানকে হারিয়ে দেওয়ার পর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাঞ্জাব এফসির বিপক্ষে ও জয় পায় দল। যারফলে, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে আসে ইস্টবেঙ্গল। তবে প্রতিপক্ষ হিসেবে শক্তিশালী গোকুলাম থাকায় কিছুটা হলেও চাপ ছিল তাদের। এছাড়াও গত কয়েকদিন আগেই তাজাকিস্তানের দাপুটে ফুটবলার কমরন তুরসোনোভকে দলে টেনেছিল দক্ষিণের এই ফুটবল দল।

তাই চাপ যেন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল লাল-হলুদ দলের পক্ষে। তবে ম্যাচ শুরু হতেই সজোরে ধাক্কা খায় গোকুলাম কেরালা দল। ম্যাচের প্রায় ১ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লাল-হলুদের জর্ডন এলসে। যারফলে, ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। তারপর ম্যাচের ৪০ মিনিটের মাথায় গোকুলাম দলের কাছে গোলের সুযোগ আসলেও তা আটকে দেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক প্রভসুখান সিং গিল। এভাবেই প্রথমার্ধের শেষে ১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকে ইস্টবেঙ্গল।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের তেজ বাড়াতে থাকে গোকুলাম দল। এভাবেই ম্যাচের ঠিক ৫৭ মিনিটের মাথায় লাল-হলুদ রক্ষনভাগে ফাঁটল ধরিয়ে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান বৌবা। ফলাফল গিয়ে দাঁড়ায় ১-১ গোল। তারপর থেকে প্রবল চাপ বাড়াতে শুরু করে ইমামি ইস্টবেঙ্গল দল। এভাবেই লাল-হলুদ দলের বারংবার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে গোকুলাম দলের ডিফেন্ডাররা। বিশেষ করে সাউল ক্রেসপোদের আটকাতে গিয়ে কার্যত কালঘাম ছুটে যায় প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের।

ম্যাচের বয়স যখন ৭৮ মিনিট ঠিক সেই সময় লাল-হলুদ আক্রমণ রোধ করতে গিয়ে কার্যত আত্মঘাতী গোল করে বসেন সেই আমিনৌ বৌবা। ফলাফল গিয়ে দাঁড়ায় ২-১ গোল। শেষ পর্যন্ত এই ফলাফল ধরে রেখেই জয় ছিনিয়ে নেয় মশাল ব্রিগেড।