Murshidabad: ‘ভালো সাঁতার জানত অতনু’, ভাগীরথীতে ডুবে মৃত্যুর বিষয়ে বিতর্কে পুলিশ

পুলিশ গাড়ি থেকে পালানো ও ভাগীরথীতে ঝাঁপ দিয়ে তলিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ ডাইরি করা হলেও তদন্তে গড়িমসি হয়েছিল এমনই অভিযোগ মৃত অতনু ঘোষের পরিবারের। তার…

পুলিশ গাড়ি থেকে পালানো ও ভাগীরথীতে ঝাঁপ দিয়ে তলিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ ডাইরি করা হলেও তদন্তে গড়িমসি হয়েছিল এমনই অভিযোগ মৃত অতনু ঘোষের পরিবারের। তার বন্ধুরা বলছে, অতনু ভালো সাঁতার জানত। আর পুলিশের দাবি, একটি চায়ের দোকানে ঝামেলা থেকে অতনুকে গ্রেফতারের পর সে পালানোর সময় নদীতে ঝাঁপ দেয়। অভিযোগ ও পুলিশের দাবি ঘিরে জটিলতার উত্তর লুকিয়ে আছে ময়না তদন্তের রিপোর্টে। তবে (Murshidabad) মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের হেপাজতে থাকার সময় তার অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক প্রবল।

অতনু ঘোষ বহরমপুর কলেজের ছাত্র ছিল। তার পিতা নির্মল ঘোষের দাবি, সিবিআই তদন্ত হোক। ছেলেকে খুন করেছে পুলিশ। তিনি বলেন, শনিবার বেলা ১২ নাগাদ অতনু এক বন্ধুর সঙ্গে বহরমপুরের মনীন্দ্রচন্দ্র বিদ্যাপীঠের মাঠে খেলছিল। শনিবার বেলা ১২ নাগাদ সৈদাবাদ ফাঁড়ির পুলিশ অতনুকে ধরে। পুলিশের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে পাশের ভাগীরথী নদীতে ঝাঁপ দেয়। এর পর তার খোঁজ মেলেনি। পুলিশকে বারবার বলা হলেও তারা অতনুকে খোঁজার চেষ্টায় ঢিলেনি করেছে।

   

জানা যাচ্ছে, সৈদাবাদের একটি চায়ের দোকানে বসচার জেরে মারামারির তদন্তে পুলিশ পাকড়াও করেছিল অতনুকে। ভাগীরথীতে ঝাঁপ দেওয়ার দীর্ঘক্ষণ পর উদ্ধার দেহ। পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃত অতনুর পরিবার। রবিবার রাত্রে অতনু ঘোষের মৃতদেহ উদ্ধার হয় ভাগীরথী থেকে।

রবিবার রাত্রে ভাগীরথী নদীর রাধারঘাট এলাকায় তার মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। নির্মল ঘোষের প্রশ্ন, ঝাঁপ দেওয়ার পর কেন অতনুকে বাঁচানোর চেষ্টা হল না? কেন বাড়িতে না জানিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল? এটা খুন।

এদিকে হেফাজত থেকে পালানো ও মৃত্যুর জেরে ফের বিতর্কে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ। জেলারই নওদা থানায় লকআপে ধৃতকে পিটিয়ে মারার অ়ভিযোগে সরগরম রাজ্য। এর মাঝে বহরমপুর থানার পুলিশ জড়াল বিতর্কে।