CPIM: ঘাসফুলের মায়া ত্যাগ করে ২০০ জন হাতে নিল কাস্তে হাতুড়ি

বিধানসভা নির্বাচনে শূণ্য হাতে ফিরতে হয়েছিল বামেদের। কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে জোট নিয়ে অমত ছিল একাধিক শরিক দলের৷ বিধানসভার পরবর্তীতে ফরমুলা বদল। কাজে লাগল তা৷…

বিধানসভা নির্বাচনে শূণ্য হাতে ফিরতে হয়েছিল বামেদের। কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে জোট নিয়ে অমত ছিল একাধিক শরিক দলের৷ বিধানসভার পরবর্তীতে ফরমুলা বদল। কাজে লাগল তা৷ একাধিক নির্বাচনে জায়গা ফিরে পাচ্ছে বামেরা৷ সেইসঙ্গে নিত্যদিনের যোগদান পর্ব যেন CPIM এর কাছে ক্ষতপূরণের মতো।

এবার মুর্শিদাবাদে তৃণমূল ছেড়ে সিপিআইএমে যোগদান করলেন ২০০ জন। লালগোলা দক্ষিণ এরিয়া কমিটির অন্তর্গত বিরামপুর গ্রামের এই খবর আলিমুদ্দিনের জন্য যেন বাড়তি অক্সিজেন৷ যোগদানকারীদের বক্তব্য, রাজ‍্যের দুর্নীতি, তোলাবাজি, কাটমানি, চুরির বিরুদ্ধে লড়াই করা।

এর আগে বীরভূমের আঙ্গার গড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজ্যধর গ্রামের প্রায় কুড়িটি পরিবার থেকে বিজেপি ও তৃণমূল ছেড়ে ৮০ জন সিপিআইএমে যোগদান করলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই হাওয়া বদল রাজনৈতিকভাবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই।

CPIM_murshidabad

গত সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের অন্তর্গত গাংগুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের টেপরিদহ এলাকার প্রায় ৩০০ জন তৃণমূল কর্মী এদিন যোগ দিলেন সিপিআইএমে। সদ্য দলবদলকারী ৭৬ টি পরিবার বহুদিন থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত বলেই জানা গেছে৷ দলত্যাগের পর জানান, রাজ্য সরকারের একাধিক কার্যকলাপ এবং ১০০ দিনের দুর্নীতির কারণে তৃণমূল ছেড়েছেন তাঁরা৷ 

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে খেলা ঘুরছে। একথা বলছেন সিপিআইএমের নীচু তলার কর্মীরা৷ তাঁদের বক্তব্য, যেভাবে প্রতিদিন যোগদান চলছে তাতে একাধিক জায়গার গ্রাম পঞ্চায়েত বামেরা দখল করতে পারে। তার জন্য বুথ স্তরের রাজনীতিতে জেলা সংগঠনকে আরও জোর দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছেন তাঁরা৷ পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনের পর পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেকটাই ক্ষতপূরণ হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।