Anis Khan Murder: আনিস খানের বাড়িতে সেলিম নিলেন দাবি আদায়ের প্রতিজ্ঞা

ঈদের দিন উৎসব নয়, বরং ছাত্রনেতা আনিস খানের পরিবারের সঙ্গে থাকবেন বলেই ঘোষণা করেছিলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। মঙ্গলবার সকালে হতেই আমতার সারদা গ্রামের…

ঈদের দিন উৎসব নয়, বরং ছাত্রনেতা আনিস খানের পরিবারের সঙ্গে থাকবেন বলেই ঘোষণা করেছিলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। মঙ্গলবার সকালে হতেই আমতার সারদা গ্রামের দক্ষিণ খাঁ পাড়ায় উপস্থিত হন তিনি। সঙ্গে ছিলেন দলের যুব নেতা শতরূপ ঘোষ এবং ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।

উল্লেখ্য, ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্র নেতা আনিস খানের রহস্যময় মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি।

আনিসের মৃত্যুর পর থেকে তার পরিবারের পাশে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং আইএসএফ। এর আগে আনিস খানের বাবার সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁর সাথে মিছিলে পা মেলান আনিসের বাবা সালেম খান।

অন্যদিকে, আনিস হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে শাস্তির দাবীতে সরব হয়েছে বাম ছাত্র যুব নেতৃত্ব। একের পর এক আন্দোলনে হাওড়া সহ রাজ্য হয়েছে উত্তাল।

এদিন আনিসের বাড়িতে উপস্থিত হন হাওড়া জেলা সিপিআইএম নেতৃত্ব। সবসময় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।

এখনও আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং একজন হোমগার্ডকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বারবার সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হলেও এখনও আনিস খানের হত্যায় নিয়োজিত রয়েছে সিট।

গত মাসের ১৯ তারিখ আনিস খানের হত্যার ঘটনায় রিপোর্ট জমা পড়ে কলকাতা হাইকোর্টে। প্রায় ৮২ পাতার রিপোর্ট মুখবন্ধ একটি খামে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের তরফে জমা দেওয়া হয়।

আনিসকাণ্ডে রাজ্যের রিপোর্টে খামতির অভিযোগ তুলেছেন মামলাকারী আইনজীবী ও সিপিআইএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, এই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস। আদালতের কাছে তিনি জানিয়েছেন, অপরাধীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে না। অন্য সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের আর্জি জানাচ্ছেন তাঁরা।

এদিন হাইকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, কী কী খামতি রয়েছে তা এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে। পরবর্তী শুনানি ১২ মে।