সিউড়ি: মুদিদোকান থেকে চকলেট কিনতে গিয়েছিল সে। সেটাই হল কাল৷ দোকানের ভিতরেই ধর্ষণ করা হল নাবালিকাকে৷ অভিযুক্ত দোকানদার৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত সিউড়ি৷ ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই দোকানদার৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে হাটজন বাজার এলাকা৷ ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় ওই দোকানে৷ রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান স্থানীরা। এখনও পর্যন্ত ওই দোকানদারের খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ তবে আটক করা হয়েছে অভিযুক্তের দাদাকে৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, সিউড়ির হাটজন বাজারের বাসিন্দা ওই নাবালিকা মঙ্গলবার রাতে মুদিখানা থেকে চকোলেট কিনতে গিয়েছিলেন৷ অভিযুক্ত দোকানদার প্রদীপ কীর্তনিয়া দীর্ঘক্ষণ বছর এগারোর ওই নাবালিকাকে দোকানে দাঁড় করিয়ে রাখেন। দোকানে আসা অন্যান্য ক্রেতাদের জিনিস দিতে থাকেন তিনি৷ প্রদীপের দোকানের উলটোদিকেই একটি বাড়ি থেকে এক মহিলা বিষয়টি লক্ষ্য করছিলেন৷ তাঁর দাবি, সব ক্রেতাদের জিনিস দেওয়ার পর দোকান ফাঁকা হতেই ওই নাবালিকাকে নিয়ে ভিতরে চলে যায় প্রদীপ। দীর্ঘক্ষণ পরও দোকানে ফেরেননি তিনি। দেখা যায়নি ওই নাবালিকাকেও৷ এতেই সন্দেহ হয় তাঁর। ফোনে প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানাতেই হুলস্থূল পড়ে যায়৷
প্রত্যক্ষদর্শী ওই মহিলা বলেন, “আমি নিজের চোখে দেখেছি ওই বাচ্চাটার পিঠে হাত বোলাতে-বোলাতে ভিতরে নিয়ে ঢুকছে। বাচ্চাটা না বেরনোয় সন্দেহ হয়।’’ সন্দেহ হতেই স্থানীয়েরা প্রদীপের বাড়িতে যায়৷ কিন্তু, সেখানে নাবালিকাকে দেখতে পাননি তাঁরা। তারা যাওয়ার আগেই পিছনের দরজা দিয়ে ওই নাবালিকাকে বের করে দেওয়া হয়। ওই নাবালিকা বাড়ি ফিরে গোটা বিষয়টি জানায়। রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার বাবা-মা। পুলিশ নাবালিকাকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য নিয়ে যায়৷