Minor Girl: নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ, দেহব্যবসায় নামানোর চেষ্টা মায়ের বয়ফ্রেন্ডের!

নারকীয়, নির্মম, মর্মান্তিক! এই ঘটনা সম্পর্কে যাই বলুন না কেন তা কম বলা হবে। হাড় হিম করা এই ঘটনা শুনলে বাকরুদ্ধ হয়ে যাবেন আপনি। নাবালিকাকে…

Representational image of rape

নারকীয়, নির্মম, মর্মান্তিক! এই ঘটনা সম্পর্কে যাই বলুন না কেন তা কম বলা হবে। হাড় হিম করা এই ঘটনা শুনলে বাকরুদ্ধ হয়ে যাবেন আপনি। নাবালিকাকে (Minor Girl) দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছিল মায়ের বয়ফ্রেন্ড। এমনকী দেহব্যবসায় নামানোর চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, পাশে দাঁড়ানোর বদলে বয়ফ্রেন্ডের হয়ে মেয়েকে হুমকি দিয়েছিল মা। মুখ খুললে খুন হয়ে যেতে হবে, ১০ বছরের মেয়েকে এভাবেই হুমকি দিয়েছিল মা। নারকীয় এই ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ওই নাবালিকা গাজিয়াবাদের বাড়ি থেকে ২০ জানুয়ারি পালিয়ে আসে। সেখান থেকে দিল্লি চলে আসে সে। রাজধানীর এদিক থেকে ওদিক ঘুরতে থাকে। সেই সময় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির নজরে পড়ে সে। কমিটির সদস্যরাই তাকে দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এরপর পুলিশ ওই নাবালিকার মেডিক্যাল টেস্ট করে। সেই সময় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। এরপরই ঘটনার তদন্তে নামেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা।

ওই নাবালিকা পুলিশকে জানায়, চার বছর আগে তার বাবা মারা গিয়েছে। তারপর থেকে দাদু-দিদার কাছেই থাকত সে। গত বছর দাদা ও তাকে দেশের বাড়ি থেকে নিয়ে যায় মা। এরপরই মায়ের পুরুষ বন্ধু তাকে ধর্ষণ করতে শুরু করে। দিনের পর দিন অত্যাচার চলতে থাকে। সবটা দেখেও প্রতিবাদ করেনি মা। তার দাদার ওপরও অত্যাচার চালাত মায়ের বয়ফ্রেন্ড। সেই কারণে দাদাও বাড়ি ছেলে চলে যায়। এরপর তার ওপর অত্যাচারে মাত্রা আরও বাড়তে থাকে।

পুলিশ জানিয়েছে, আচমকাই নাবালিকা জানতে পারে, বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তার মা দেহব্যবসায় যোগ দিয়েছে। এমনকী ভবিষ্যতে মেয়েকেও দেহব্যবসায় নামানোর পরিকল্পনা করে রেখেছে সে। এরপরই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসে ওই নাবালিকা। গাজিয়াবাদ থেকে সোজা দিল্লিতে চলে আসে। ওই নাবালিকার বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ তার মা এবং মায়ের পুরুষ বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে।

গাজিয়াবাদের পুলিশকর্তা ভাস্কর শর্মা বলেন, ধৃত যুবকের নাম রাজু। সে দিল্লির বাসিন্দা। মেয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেও ওই মহিলা থানায় মিসিং ডায়েরি করেনি। ওই নাবালিকা জানিয়েছে, মা এবং রাজু তাকে মুখ খুলতে বারণ করত এবং ক্রমাগত অত্যাচার চালাত। জানুয়ারিতে দিল্লি পুলিশ মামলা রুজু করে। তারপর ৯ এপ্রিল গাজিয়াবাদের লোনি বর্ডার থানার পুলিশ আরেকটি মামলা শুরু করে। আপাতত ওই মহিলা এবং যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।