চিঠি চালাচালিতেই উপনির্বাচনে জয়ী দুই তৃণমূল প্রার্থীর শপথ জট অব্যাহত। রাজভবনে এসে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেতায় হোসেন শপথ নিন, চাইছেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস। কিন্তু, রাজভবনে ঢুকতে নারাজ এই দুই জয়ী প্রার্থী। বদলে বিধানসভাতেই স্পিকারের কাছে শপথবাক্য পাঠ করতে আগ্রহী সায়ন্তিকারা। রাজ্যপালের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিধানসভায় আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্না শুরু করেছেন সায়ন্তিকা ও রেয়াত। এসবের মধ্যেই দলের জয়ী দুই জয়ী প্রার্থীর শপথ-ইস্যুতে নবান্নে বসে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্ন সভাঘরে বৃহস্পতিবার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই একফাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের দুই বিধায়ক জেতার পর এক মাস ধরে বসে আছে। শপথ নিতে পারছে না। রাজ্যপাল শপথ নিতে দিচ্ছেন না। মানুষ ওদের নির্বাচিত করেছেন, ওঁর কি অধিকার আছে শপথ নিতে না দেওয়ার। উনি স্পিকারকে বা ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেবেন, অথবা নিজে যাবেন বিধানসভায়।’
লোকসভা থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজধর্ম পালনে কড়া প্রশাসক মমতা
কেন রাজভবনে যেতে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেনের আপত্তি? নিজেই তা খোলসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘ওঁর রাজভবনে কেন সবাই যাবেন? রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি ঘটছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছে, আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছে।’
দলীয় কাউন্সিলর-পুলিশদের মমতা বার্তা, ‘লোভ সংবরণ করুন’
বুধবার দুপুর ২ টো পর্যন্ত রাজভবনে অপেক্ষা করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। পরে তিনি দিল্লি চলে যান। অন্যদিকে, বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও রাজভবনে শপথের জন্য না যেতে চেয়ে বিধানসভায় ধর্নায় বসেছেন সায়ন্তিকারা।
এ দিন সায়ন্তিকা বলেছেন, ‘আমরা ওনার চেয়ারকে সম্মান করি। তাই এতদিন মুখ খুলিনি। কিন্তু আসল কারণ তো রাজভবনে কয়েক মাস আগে ঘটে চলা নক্কারজনক ঘটনা। আমরা পুরো ঘটনায় ভীত। তাই যেতে চাইছি না।’ রেতায় হোসেন জানিয়েছেন, এই ইস্যুতে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।