সন্দেশখালিকে সমৃদ্ধ করেছে বাংলার মায়েরা, তাঁদের প্রণাম: মমতা

সোমবার সন্দেশখালিতে একটি জনসভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তার সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও উন্নয়নমূলক কাজের কথা তুলে ধরেন। বক্তৃতায় তিনি রাজ্যের জনগণের প্রতি…

Health Department Removes Special Secretary of Swasthya Bhavan Following Saline Case

সোমবার সন্দেশখালিতে একটি জনসভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তার সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও উন্নয়নমূলক কাজের কথা তুলে ধরেন। বক্তৃতায় তিনি রাজ্যের জনগণের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি এবং উন্নয়নের পরিকল্পনার বিষয়েও আলোচনা করেন।

শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে না ভারত, দাবি ইউনূসের উপদেষ্টার

   

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মায়েদের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে তারা স্বাধীনভাবে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন। তিনি আরও জানান, ‘যতদিন বাঁচবেন, ততদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন,’ অর্থাৎ এই প্রকল্পের সুবিধা দীর্ঘদিন চলবে এবং জনগণ এর সুবিধা নিতে পারবেন।”

তিনি দাবি করেন, “আজকে রাজ্যের ৯৯ শতাংশ মানুষ রেশন পান। রাজ্যের এমন উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে যা দেশের অন্যান্য রাজ্যে তুলনা করা যায় না। কৃষকদের জন্য সরকার শষ্য বিমার টাকা পুরোটাই দেয়, যাতে তারা তাদের ফসলের ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ পান।”

মুখ্যমন্ত্রী তার সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের উল্লেখ করেন। “১২৩ কোটি টাকা খরচ করে রাজ্য সরকারের ৬৬টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে রাস্তা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং কমিউনিটি হল নির্মাণের কাজ হয়েছে।” তিনি জানান, “রাজ্য সরকারের সাধ্যমতো সমস্ত সুযোগ সুবিধা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।”

এছাড়া, তিনি জানান, “রাজ্য সরকার ৬ লক্ষ ৫৩ হাজার মানুষের বার্ধক্যভাতা প্রদান করছে, যাতে প্রবীণ নাগরিকরা সসম্মানে জীবনযাপন করতে পারেন।” মমতা বলেন, “আপনার টাকা, আপনার অধিকার। কাউকে তা দেবেন না।”

১০০ করে থামল জীবন, প্রয়াত নোবেলজয়ী প্রাক্তণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার

মুখ্যমন্ত্রী সন্দেশখালির মাটির প্রশংসা করে বলেন, “সন্দেশখালির মাটি বাংলার মায়েদের হাত ধরে সমৃদ্ধ হয়েছে। তাদের প্রতি আমার অন্তরের শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, “জাতি শংসাপত্র যাদের প্রয়োজন, তারা তা পাবেন।”

এছাড়া, তিনি জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতি দেন যে, “দুয়ারে সরকার” প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার তাদের দরজায় আসবে। “২৬ জানুয়ারি থেকে রাজ্যের দুর্গম অঞ্চলে দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু হবে, যাতে প্রত্যেক মানুষ সরকারের সুযোগ সুবিধা পেতে পারে।”

জেলে হঠাৎ সংজ্ঞাহীন ‘কাকু’! SSKM থেকে নিয়ে যাওয়া হবে বেসরকারি হাসপাতালে

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন, “রাজ্য সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করে জল প্রকল্প শুরু হয়েছে, যাতে রাজ্যের প্রতিটি এলাকার মানুষের নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়।”

এদিনের বক্তৃতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সরকারের বিভিন্ন সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরে রাজ্যের জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ জনগণের স্বার্থে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য করা হচ্ছে।