কাঁথিতে তৃণমূল জিতলেও সার্টিফিকেট দিচ্ছে না কমিশন, বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, ইচ্ছে করে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীদের সার্টিফিকেট…

mamata-banerjee-bjp-looted-votes-in-west-bengal-in-lok-sabha-elections

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, ইচ্ছে করে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা জেতার পরেও নির্বাচন কমিশন চেষ্টা করছে, যাতে বিজেপিকে আরও কিছু আসনে জেতানো যায়। সেই কারণে জয়ী প্রার্থীদের সার্টিফিকেট দিচ্ছে না।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কাঁথিতে আমরাই জিতেছি। কিন্তু বিজেপির পর্যবেক্ষকেরা শংসাপত্র আটকে রেখেছে। ইচ্ছে করে বিজেপির পর্যবেক্ষকদের বাংলায় পাঠানো হয়েছে। পর্যবেক্ষককে কাজে লাগিয়ে, এসব করে বেড়াচ্ছে বিজেপি। দরকারে ফের গণনা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

   

একই সঙ্গে মমতা অভিযোগ করেন, তমলুক কেন্দ্রে কারচুপি করে ভোটে জিতেছে বিজেপি। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, তমলুকে ভোট হয়নি, পুরো রিগিং হয়েছে। নন্দীগ্রামের মতো চক্রান্ত করে তমলুকে সামান্য ভোটে আমাদের প্রার্থীকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই কেন্দ্রে পুনর্গণনা চাইব। পুনর্গণনা হলে দেখা যাবে ওই কেন্দ্রে বিজেপি হেরে গিয়েছে। 

নিজের গড় বহরমপুরেই ‘বধ’ অধীর! ভোট ময়দানেও চ্যাম্পিয়ন ইউসুফ

প্রসঙ্গত, কাঁথি লোকসভা আসনে এবার বিজেপির টিকিট দিয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে লড়েছিলেন দলের দাপুটে নেতা উত্তম বারিক। 

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা কেন্দ্র কাঁথি। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই এই জেলায় উত্থান হয় বিজেপির। কাঁথি লোকসভার মধ্যে মোট ৭টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের চারটি যায় বিজেপির দখলে।

হিন্দুত্বের জিগির তুলে জগন্নাথের রাজ্যে জয়জয়কার বিজেপির

২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রথমবার কাঁথি কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন শিশির অধিকারী। সিপিএম প্রার্থী প্রশান্ত প্রধানকে ১ লক্ষেরও বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন তিনি। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালেও এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন শিশির।