রোজ ৫০০ টাকার জল-ফল কাকে খাওয়াবেন? রাজ্যপালকে কেন খোঁচা মমতার?

রাজ্য-রাজভবন সংঘাত থামার নাম নেই। বিধানসভায় পাস হওয়া বিল আটকে রাখা থেকে শুরু করে নির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহ, সবেতেই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে রাজভবন। যারফলে প্রশাসনিক…

mamata

রাজ্য-রাজভবন সংঘাত থামার নাম নেই। বিধানসভায় পাস হওয়া বিল আটকে রাখা থেকে শুরু করে নির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহ, সবেতেই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে রাজভবন। যারফলে প্রশাসনিক কাজে জটিলতা ও সাংবিধানিক সংকট বেড়েছে। সম্প্রতি বরাহনগরের নির্বাচিত বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভগবানগোলার রায়াত হোসেনের শপথগ্রহণ নিয়ে বিস্তর জটিলতা হয় দুপক্ষের। পরে বিধানসভার স্পিকারের তত্ত্বাবধানে শপথপাঠ করানো হয় তৃণমূলের নবনির্বাচিত বিধায়কদের।

Durga Puja 2024: রাজনীতি ভুলে পুজোর ভিড় টানার লড়াইয়ে সুজিত-সজল? রাতারাতি নোটিস পুলিশের

   

সেই জলঘোলা মিটতে না মিটতে ফের উপনির্বাচনে জয়ী হয় চার তৃণমূল প্রার্থী। ফলে বাগদা, রানাঘাট, বনগাঁ ও রায়গঞ্জের নতুন চার বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে ফের বিবাদের সূত্রপাত। ওই নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ অসাংবিধানিক বলে জানায় রাজভবন। কারণ তাঁরা বিধানসভার স্পিকারের মাধ্যমে শপথ নিয়েছেন। যা আইনসম্মত নয়। ফলে প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে নবনির্বাচিত বিধায়কদের। যদিও এই যুক্তিকে মানতে নারাজ রাজ্যের শাসকদল। কারণ তাঁদের যুক্তি সবকিছুই আইন মেনেই হচ্ছে। সংবিধানের পাঁচটি ধারা মেনেই শপথ নিয়েছেন নতুন বিধায়কেরা।

School Closed: জুলাই-আগস্ট মাসে ফের বন্ধ স্কুল! কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার?

মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “লাইন মেনে চলুন, বেলাইনে কথাবার্তা বলবেন না। ৫০০ টাকা রোজ কাকে জল-ফল খাওয়ানোর জন্য খরচ করতে হবে?” মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের ইঙ্গিত যে কোনদিকে তা বুঝতে সমস্যা হয়নি কারওর। রাজনৈতিক মহলের ধারনা , সম্প্রতি রাজভবনে নারী নিগ্রহ কাণ্ডে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মহিলা কর্মী নিগ্রহের ঘটনায় বিষয়টিকে সরব হয় রাজ্যের শাসকদলও। মহিলাদের নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্য কিন্তু ভালোভাবে মেনে নেয়নি রাজভবন।

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ‘মারাত্মক’ বুকে ব্যথা! রাতেই ছুটতে হল হাসপাতালে

এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে আদালতের দ্বারস্থ হন রাজ্যপাল। যারফলে রাজ্য-রাজভবন সম্পর্ক এই মুহূর্তে আদায়-কাঁচকলায়। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এই কটাক্ষ যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।