টেস্টে ফেল, পরীক্ষাকেন্দ্রে জাল অ্যাডমিট কার্ডসহ পাকড়াও পরীক্ষার্থী

হুগলি: শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা৷ আর প্রথম দিনেই একের পর এক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে৷ প্রশ্ন ফাঁস রুখতে পর্ষদ এবছর একগুচ্ছ নিয়ম চালু করেছে৷…

school reopen in west bengal

হুগলি: শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা৷ আর প্রথম দিনেই একের পর এক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে৷ প্রশ্ন ফাঁস রুখতে পর্ষদ এবছর একগুচ্ছ নিয়ম চালু করেছে৷ কিন্তু তবুও রোখা যায়নি প্রশ্ন ফাঁসের মতো ঘটনা৷ অন্যদিকে, সকলেরই জানা মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে প্রতিটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে টেস্ট পরীক্ষা হয়৷

তেমনি উত্তরপাড়া অমরেন্দ্রনাথ বিদ্যাপীঠে টেস্টে পাশ করতে পারেনি এক ছাত্র৷ তাই নিয়ম মাফিক মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার জন্য স্কুলের পক্ষ থেকে অনুমতি পায়নি৷ দেওয়া হয়নি অ্যাডমিট কার্ড৷ কিন্তু অন্যের অ্যাডমিট কার্ড ফটোকপি করে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়ে ওই ছাত্র৷

   

জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রটি উত্তরপাড়ার অমরেন্দ্রনাথ বিদ্যাপীঠে পড়ে৷ দশম শ্রেণির পরীক্ষায় টেস্টে পাশ করতে পারেনি সে৷ তাই তাকে দেওয়া হয়নি অ্যাডমিট কার্ড৷ নিয়মিত স্কুলেও যেত না পড়ুয়া৷ অথচ শুক্রবার ভদ্রকালী হাইস্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চলে আসে সে৷ অ্যাডমিট কার্ড পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে দেখায়৷ তাতে রোল নম্বরে কালি দেওয়া ছিল৷ ফলে অ্যাডমিট কার্ড পরীক্ষা করতে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে পরীক্ষকদের৷

বাকি পরীক্ষরদেরও ডেকে আনেন৷ গোটা বিষয়টি সন্দেহ হয় তাঁদের৷ এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রের স্কুল অমরেন্দ্র বিদ্যাপীঠে খবর দেয়৷ পর্ষদের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদেরও জানানো হয়৷ ভদ্রকালী স্কুলে গিয়ে তাঁরা ছাত্রের সঙ্গে কথা বলেন৷ অ্যাডমিট কার্ড পরীক্ষা করে দেখেন৷ তখনই পর্দাফাঁস৷ ওই ছাত্র নিজেই স্বীকার করে নেয়, আসলে টেস্ট পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হতে পারেনি সে৷ বন্ধুর অ্যাডমিট কার্ড ফটো কপি করে পরীক্ষা দিতে চলে আসে৷ যাতে ধরা না পড়ে, তাই পেনের কালি ফেলে দেয় রোল নম্বরের ওপর৷

ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ছাত্রকে পরীক্ষায় আর বসতে দেওয়া হয়নি৷ খবর দেওয়া পরিবারের সদস্যদের৷ অমরেন্দ্র বিদ্যাপীঠের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুশান্ত রায় বলেন, “ওই ছাত্রে স্কুলে উপস্থিতি অনিয়মিত। অ্যাডমিট কার্ডটি আসল নয়৷ স্বাভাবিকভাবেই ওর পরীক্ষায় বসার কথা নয়৷ তাই পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি৷”