পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে বীরভূম (Birbhum) জেলায় শাসক তৃ়ণমূল কংগ্রেস (TMC) ছেড়ে সিপিআইএমে (CPIM) যোগদান চলছে বলেই দাবি জেলা নেতাদের। এবার জেলায় বিজেপিতে (BJP) ধরল বড় ভাঙন। রামপুরহাটে শতাধিক পরিবার বাম শিবিরে যোগ দিলেন। দলবদলুরা বলেছেন, বিজেপি সাধারণ গ্রামবাসীদের উন্নয়নের কোনও পদক্ষেপ নেবেনা। আর তৃ়ণমূলের দুর্নীতি রুখতে পারে বামফ্রন্ট।
সিপিআইএম বীরভূম জেলা কমিটি জানাচ্ছে, রবিবার রামপুরহাট-২ ব্লকের বুধিগ্রাম অঞ্চলের বাতিনা গ্রামের বিজেপির প্রাক্তন জেলা কমিটির সদস্য কার্তিক মাল সহ প্রায় ১০০ তফশিলি পরিবার বিজেপি ছেড়েছেন। এরা সবাই সিপিআইএম পার্টিতে যোগদান করেন।
বীরভূম জেলায় গত পুরভোটে বিজেপির করুন হাল হয়। জেলার সব পুরবোর্ড দখল করে তৃণমূল। আর সিপিআইএম উঠে আসে দ্বিতীয় স্থানে। দলের গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব ও নেতৃত্বের দূর্বলতা নিয়ে প্রবল আক্রমনাত্মক বীরভূমের বিজেপি নেতা দুধকুমার মণ্ডল আগেই জানান, দলীয় কর্মীদের বসে যেতে বলেছি।
পড়ুন দুধকুমারের আক্রমণ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন: Dudhkumar Mandal: ‘অপেক্ষা করুন দেখবেন কী করি’, বিজেপির উপর হামলার ছক করছেন দুধকুমার
শুধু বীরভূম নয়, অন্যান্য জেলাতেও একই ছবি। বিধানসভার বিরোধী দল হয়েও পুরভোটে বিজেপি হয় শূন্য। আর সিপিআইএম দখল করে একটি পুরবোর্ড (নদিয়ার তাহেরপুর পুরসভা)। পুরভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজ্যে বামফ্রন্টের অবস্থান বিজেপির উপরে। এই বিশ্লেষণ মেনে নিয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক হাল নিয়ে ক্ষুব্ধ অমিত শাহ সরাসরি বঙ্গ বিজেপি নেতাদের কাছে বাম শক্তির উত্থান নিয়ে উদ্বেগ জানান।
সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপি যে রিপোর্ট পাঠিয়েছে তাতে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি মালদা সহ বিভিন্ন জেলায় তীব্র গোষ্ঠিদ্বন্দ্বের কথা বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে ও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় তৃণমূল বিরোধী ভোট সিপিআইএমে ঢুকছে বলেও জানানো হয়েছে।
গোরু পাচার তদন্তে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তিহার জেলে বন্দি। অনুব্রতকে গ্রেফতারের পর থেকে বীরভূমে তৃণমূল ত্যাগ করে সিপিআইএমে যোগদান চলছে বলে বাম নেতাদের দাবি।
আরও পড়ুন: Birbhum: মমতা দায়িত্ব নিতেই তৃণমূল ছেড়ে বামে ঢুকলেন শত শত সংখ্যালঘু
অনুব্রতহীন বীরভূমের সংগঠন নিয়ে চিন্তিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে এই জেলার সাংগঠনিক দিকটি দেখছেন। এর মাঝে পরপর তৃ়ণমূল ত্যাগ করে সিপিআইএমে যোগদান চলে। জেলার বাম নেতাদের দাবি, ভবিষ্যতে আরও বড় ভাঙন ধরবে তৃণমূলে।