মানিকতলার ভোটে গো-হারা হেরেও পুরস্কৃত কল্যাণ! বড় ঘোষণা কুণালের

লোকসভা ভোটে মানিকতলা বিধানসভা থেকে প্রায় ৩ হাজার ভোটে জিতেছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। উপনির্বাচনে লক্ষ্য ছিল ৫০ হাজারের ব্যবধান। কিন্তু আনায়াসে লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়েছে তৃণমূল। কলকাতার মানিকতলা…

Kunal Ghosh will send Rasgolla to Kalayam Choubey as he lost in Maniktala, মানিকতলায় কল্যাম চৌবে হেরে যাওয়ায় তাঁকে রসগোল্লা পাঠাবেন কুণাল ঘোষ

লোকসভা ভোটে মানিকতলা বিধানসভা থেকে প্রায় ৩ হাজার ভোটে জিতেছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। উপনির্বাচনে লক্ষ্য ছিল ৫০ হাজারের ব্যবধান। কিন্তু আনায়াসে লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়েছে তৃণমূল। কলকাতার মানিকতলা বিধানসভায় উপনির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জিতেছে তৃণমূল। জয়ের ব্যবধান ৬২ হাজার ৩১২ ভোট। তবে, রিগিংয়ের অভিযোগ তুলে তৃণমূলের এই জয়কে ‘গণতন্ত্রের হত্যা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। যা নিয়েই এ দিন কল্যাণকে কটাক্ষ করেছেন মানিকতলা কেন্দ্রে জোড়-ফুলের ‘চাণক্য’ কুণাল ঘোষ। সঙ্গে করেছেন বড় ঘোষণা।

মানিকতলা বিধানসভার কাউন্টিং সেন্টার ছিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাসে। এ দিন গণনা শেষ হতেই সেখানে যান কুণাল। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘কল্যাণ চৌবে যত ভোটে হারবেন, ততগুলি রসগোল্লা ওঁর বাড়িতে পাঠাব।’ কোন কৌশলে কলকাতার এই কেন্দ্রে জিতল তৃণমূল? কুণালের সাফ জবাব, ‘বাম জমানার থেকে ভালো আছেন বাংলার মানুষ। বিজেপির প্রতি তাঁদের আস্থা নেই। ভুলকে ভুল বলে স্বীকার করছে। তাই মানুষের আস্থা রয়েছে।’

   

বাংলার উপনির্বাচনে ‘দলবদলু’দেরই রমরমা! উড়ল সবুজ আবির

একুশের নির্বাচনে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন সাধন পাণ্ডে। ২০ হাজার ২৩৮ ভোটে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে হারান তিনি। ২০২২-র ফেব্রুয়ারিতে মৃত্যু হয় সাধন পাণ্ডের। তারপর থেকে এই কেন্দ্রটি বিধায়কহীন হয়ে পড়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচনের বিধান থাকলেও, মানিকতলা কেন্দ্রের ক্ষেত্রে তা হয়নি।

লোকসভা ভোটের মাঝপথে কেঁদেছিলেন, মানিকতলা জিতিয়ে ‘চাণক্য’ সেই কুণালই

গণনায় কারচুপির অভিযোগে ফলাফল বাতিলের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন পরাজিত বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। সেই মামলার সম্প্রতি নিষ্পত্তি ঘটেছে। আদালত উপনির্বাচনের নির্দেশ দেয়। তারপরই উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশন। এই কেন্দ্রে তৃণমূল টিকিট দিয়েছিল সুপ্তি পাণ্ডেকে। আর বিজেপি কল্যাণ চৌবেকেই প্রার্থী করেছিল।

তবে এবারও হারলেন কল্যাণ। হেরে বললেন, ‘গোয়েন্দা গল্পে যেমন পড়ে থাকি… কিছু বোঝা যায় না, অথচ ঘটে যায়। মানিকতলাতেও ধীর স্থিরভাবে সবকিছু হয়েছে। খুব শান্তভাবে ভোট হয়েছে। আর একটা দল ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য একটা দুশ্চিন্তার বিষয়।’