১ মে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে তাঁকে (Kunal Ghosh) সরিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২ মে সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় অঝোর ধারায় কেঁদে ফেলেছিলেন। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। সেই কুণালের (Kunal Ghosh) নেতৃত্বেই মানিকতলায় ঘাসফুল ফুটল। বিরাট ব্যবধানে সেখান থেকে জিতলেন তৃণমূল প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডে।
প্রসঙ্গত, মানিকতলা উপনির্বাচনের দায়িত্ব দলের বিশ্বস্ত নেতা কুণাল ঘোষের হাতেই তুলে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে এই কেন্দ্রের আহ্বায়ক করা হয়। দায়িত্ব পেয়েই ভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েন কুণাল। দিনরাত এক করে রোদ-ঝড়-জল মাথায় করে প্রচারে ঝড় তোলেন কুণাল। অবশেষে মানিকতলায় জয় এল।
মানিকতলা বিধানসভার কাউন্টিং সেন্টার ছিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাসে। এদিন গণনট শেষ হতেই সেখানে যান কুণাল। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, কল্যাণ চৌবে যত ভোটে হারবেন, ততগুলি রসগোল্লা ওঁর বাড়িতে পাঠাব। বাম জমানার থেকে ভালো আছেন বাংলার মানুষ। বিজেপির প্রতি তাঁদের আস্থা নেই। ভুলকে ভুল বলে স্বীকার করছে। তাই মানুষের আস্থা রয়েছে।
দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হলেন বাগদার মধুপর্ণা ঠাকুর
একুশের নির্বাচনে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন সাধন পাণ্ডে। ২০ হাজার ২৩৮ ভোটে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে হারান তিনি। ২০২২-র ফেব্রুয়ারিতে মৃত্যু হয় সাধন পাণ্ডের। তারপর থেকে এই কেন্দ্রটি বিধায়কহীন হয়ে পড়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচনের বিধান থাকলেও, মানিকতলা কেন্দ্রের ক্ষেত্রে তা হয়নি।
গণনায় কারচুপির অভিযোগে ফলাফল বাতিলের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন পরাজিত বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। সেই মামলার সম্প্রতি নিষ্পত্তি ঘটেছে। আদালত উপনির্বাচনের নির্দেশ দেয়। তারপরই উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশন। এই কেন্দ্রে তৃণমূল টিকিট দিয়েছিল সুপ্তি পাণ্ডেকে। আর বিজেপি কল্যাণ চৌবেকেই প্রার্থী করেছিল।
শুভেন্দু-দিলীপ নয়, বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদে বিরাট চমক, জানলেই চমকাবেন