TMC: রাজ্যপাল দিল্লিতে, অভিষেকের ধর্নায় তৃণমূল সমর্থকরা বাড়ি ফিরতে মরিয়া

উত্তরবঙ্গ সফর শেষে রাজ্যপাল সরাসরি দিল্লিতে। জানা যাচ্ছে তিনি প্রধানমন্ত্রী অথবা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন। আর কলকাতায় তাঁর অপেক্ষায় তীর্থের কাক হয়ে ধর্না করছেন…

উত্তরবঙ্গ সফর শেষে রাজ্যপাল সরাসরি দিল্লিতে। জানা যাচ্ছে তিনি প্রধানমন্ত্রী অথবা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন। আর কলকাতায় তাঁর অপেক্ষায় তীর্থের কাক হয়ে ধর্না করছেন বলে কটাক্ষ শুরু বিজেপি মহলে। বাম শিবিরের কটাক্ষ, সবই দিদি-মোদী সেটিং চলছে। কারণ, দুর্নীতিতে জড়িতদের নিয়ে ইডি সিবিআই তদন্তের গতি দেখলেই স্পষ্ট। অভিষেকের তরফে বারবার রক্ষাকবচ আবেদনই এর প্রমাণ।

Advertisements

দলের কর্মীদের নিয়ে সুদূর দিল্লিতে গিয়েও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পেয়ে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজভবন অভিযান করে তৃণমূল। জানাই ছিল রাজ্যপাল থাকবেন না। কারণ তিনি উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন। যেখানে বন্যার জেরে চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। তবে রাজভবন অভিযান কর্মসূচি জারি রেখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, রাজ্যপাল যতক্ষণ না প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন, ততদিন রাজভবনের সামনেই শান্তিপূর্ণভাবে ধর্না চালিয়ে যাবেন। এদিকে বৃষ্টির মাঝে ধর্নার কর্মসূচি শুনে বহু টিএমসি সমর্থক বাড়িমুখো হতে থাকেন।

Advertisements

অভিষেক বলেন, ‘ভেবেছিলাম ৪ তারিখ রাজ্যপাল ফিরবেন, ৫ তারিখ দেখা করার সুযোগ পাব। বন্যা পরিস্থিতি দেখতে শিলিগুড়িতে রাজ্যপাল, সেখানেই দেখা করতে বলেন। ডেরেককে দেখতে বলেছিলাম, দেখা গেল ৪টে পর্যন্ত শিলিগুড়িতে আছেন। আপনি ৩দিন থাকতে পারতেন, এসেই ফিরে গেলেন, রাজভবন খালি। এখন তো শুনছি উনি শিলিগুড়ি থেকে দিল্লির পথে পাড়ি দিয়েছেন।’

ধর্না মঞ্চ থেকে হুঙ্কারের সুর শোনা যায় অভিষেকের গলায়। তিনি বলেন, ‘আমরা সৌজন্য দেখিয়েছি, কিন্তু রাজ্যপালের এই জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধে। দিল্লিতে যা হয়েছে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতা, এর জবাব দেবে মানুষ। গায়ের জোরে বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে রাখা হয়েছে। ২০ লক্ষ মানুষ, যাদের দিয়ে কাজ করানো হয়েছে, তাদের প্রাপ্য আটকে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা হলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার অনুরোধ করব। কেন বাংলার টাকা আটকে রাখা হয়েছে, তা জানতে চাওয়ার অনুরোধ করব’।

এদিকে আবার ইডির পক্ষ থেকে তাকে বারংবার নোটিশ। সেক্ষেত্রে তিনি বলেন, ‘আমাকে ইডি একের পর এক নোটিস দিচ্ছে। আমার মা-বাবা-স্ত্রীকে একের পর এক নোটিস, অথচ বিজেপি নেতারা কেন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন? ২০ লক্ষ মানুষ কী কাজ করেছে? এটা রাজ্যপালের কাছে জানতে চাইব’।

রাজভবনের সামনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তীব্র সুর হাকিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যপালের দেখা না পাওয়া পর্যন্ত ধর্না চালিয়ে যাব। রাজ্য সরকারের থেকেও আমার জেদ অনেক বেশি। শান্তিপূর্ণভাবে এই ধর্না চালিয়ে যাব। আজ রাত ৯টায় শেষ হবে। কাল ১১টা থেকে ফের কর্মসূচী শুরু হবে। আমি এখানেই থাকব। একচুলও নড়ব না। যা করব শান্তিপূর্ণভাবেই করব।’