HomeWest BengalKolkata Cityস্বাস্থ্য সচিবের অপসারণ নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণ নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী

- Advertisement -

গত শনিবার, জুনিয়র ডাক্তাররা পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের অপসারণের দাবি তুলেছিল। এই দাবির প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) মন্তব্য করেন যে, “একটি পরিবারের সবাইকে সরিয়ে দেবে?” যা ডাক্তারদের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, একমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে অপসারিত করা ন্যায়সঙ্গত নয়।

মুখ্যমন্ত্রীর(Mamata Banerjee) এই বক্তব্যের পর,আজ সোমবার নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee)৷ সেখানে ফের স্বাস্থ্য সচিবের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। চিকিৎসকেদের তরফে বলা হয়, “স্বাস্থ্য সচিবের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।” তবে মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee) তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “একটি ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে অভিযুক্ত বলা যাবে না।”

   

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) এই মন্তব্যের পর, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক সন্দীপ্তা চক্রবর্তী জানান, “যাঁর বিরুদ্ধে আমাদের প্রমাণ আছে, তাকে ব্যাকরণ মেনে অভিযুক্ত বলা যেতেই পারে।” চিকিৎসকদের এই বক্তব্যের পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, স্বাস্থ্য সচিবের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে, সেগুলি গুরুতর এবং সেগুলির তদন্ত হওয়া উচিত। তাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে যে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবনতি এবং চিকিৎসা সেবায় যে ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্যই স্বাস্থ্য সচিব দায়ী। তারা মনে করছেন, যদি স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণ না হয়, তাহলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক মন্তব্য পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন একটি বড় সামাজিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে, যেখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং জনস্বাস্থ্য প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। ডাক্তাররা দাবি করছেন,তাঁদের কাজের পরিবেশ এবং রোগীদের সেবা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ জরুরি।

অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টিকে রাজনৈতিক গেম হিসাবে দেখছেন এবং জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ষড়যন্ত্র বলেও অভিহিত করেছেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, স্বাস্থ্য সেক্টরের উন্নতির জন্য তিনি সচেষ্ট এবং ডাক্তারদের প্রতি তার সমর্থন রয়েছে।

এখন দেখার বিষয় হলো, এই পরিস্থিতি কিভাবে পরিবর্তিত হয় এবং জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের দাবি আদায়ে সফল হয় কিনা। রাজ্যবাসী এবং চিকিৎসক সমাজের নজর এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।

জরুরি স্বাস্থ্য সেবা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে এটি রাজ্যের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

 

 

- Advertisement -
Business Desk
Business Desk
Stay informed about the latest business news and updates from Kolkata and West Bengal on Kolkata 24×7
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular