Bengali killed in Kashmir: কাশ্মীরে পাঁচ বাঙালির হত্যা নিয়ে সরব বাংলাপক্ষ

bengali killed issue of 2019 in kashmir

দ্যা কাশ্মীর ফাইলস ছবি নিয়ে আলোচনা চলছে সমগ্র দেশ জুড়ে। খোদ প্রধানমন্ত্রী ওই ছবির প্রশংসা করেছেন। বিজেপির নেতাকর্মীরা দেশ জুড়ে সেই ছবির প্রচার করছেন। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপরে হওয়া নির্যাতন নিয়ে বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুলছেন। এই অবস্থায় কাশ্মীরের মাটিতে হওয়া বাঙালি শ্রমিকদের হত্যাযজ্ঞের (Bengali killed) স্মৃতি ফিরিয়ে আনল বাংলাপক্ষ। যা নি়য়ে সুকৌশলে আক্রমণ করলেন বিজেপি শিবিরকে।

Advertisements

২০১৯ সালের অক্টোবর মসের ২৯ তারিখ। কাশ্মীরের জঙ্গিদের হাতে খুন হতে হয় পাঁচ বাঙালিকে। যারা সকলেই ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘীর বাসিন্দা। শ্রমিকের কাজ করতে পাড়ি দিয়েছিলেন সুদূর কাশ্মীরে।

   

ওই সকল শ্রমিকদের গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। একজন শ্রমিক জখম হন। নিহত শ্রমিকদের নাম শেখ নইমুদ্দিন , শেখ মুরশলিম, শেখ রফিকুল, শেখ রফিক এবং শেখ কামারুদ্দিন ৷ জখম শ্রমিকের নাম জহিরুদ্দিন সরকার৷ তাঁর হাতে গুলি লাগে। কাশ্মীরের কুলগামে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নিজেদের বাড়িতেই ছিলেন৷ জঙ্গিরা তাঁদের উপর হামলা করে৷ তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে এনে গুলি চালাতে শুরু করে তারা৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পাঁচজনের৷ গুরুতর জখম হন জহিরুদ্দিন।

Advertisements

দ্যা কাশ্মীর ফাইলস ছবি নিয়ে বিজেপি নিজেদের প্রচার চালাচ্ছে বলে দাবি অবিজেপিদের। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপরে হওয়া সেই ঘটনার উলটো যুক্তিও দেখানো হচ্ছে। এই অবস্থায় ভূস্বর্গে বাঙালিদের হত্যাকাণ্ড নি়য়ে সরব হলেন অধ্যাপক ডঃ গর্গ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “কাশ্মীরে পাকিস্তানপন্থী সন্ত্রাসীরা ২০১৯-এ খুন করেছিল ৫ জন বাঙালি শ্রমিককে – কামরুদ্দিন শেখ, মুরসালিন শেখ, রফিকুল শেখ, রফিক শেখ, নইমুদ্দিন শেখ। বাঙালি খুনের ক্ষমা নেই।”

এরপরেই চেনা ছন্দে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন গর্গবাবু। এক্ষেত্রে তিনি টেনে এনেছেন ওই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তৎকালীন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য। গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “কাশ্মীরে পাকিস্তানপন্থী সন্ত্রাসবাদীরা যখন পশ্চিমবঙ্গের ৫ বাঙালিকে খুন করেছিল, বাংলা ও বাঙালির শত্রু, হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী বিজেপির স্থানীয় দালাল দিলীপ ঘোষ বলেছিল কোন বাঙালি খুন হয়নি। বাংলাপক্ষর সব মনে আছে, কারণ বাঙালি জাতি বাংলাপক্ষর রক্তর রক্ত, ধান্দার আইটেম না।”