আরজি কর কাণ্ডের আবহেই পুজোর ঢাকে কাঠি, শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় বাঙালি

আরজি কর কাণ্ড নিয়ে গর্জে উঠেছিল গোটা বিশ্ব৷ চারিপাশে একটাই ধ্বনি তিলোত্তমার বিচার চাই৷ তিলোত্তমার বিচার চেয়ে প্রায় ৪৩ দিন ধরে পথেই দিন কাটিয়েছে জুনিয়ার চিকিৎসকেরা৷ সেই বিক্ষোভের আবহে কিছু দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করেছিলেন উৎসবে (durga puja shopping) ফিরতে।

Advertisements

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গ্রামের লোকেরা পুজোর মাধ্যমে নানা রকম জিনিস বিক্রি করেন। এই ভাবে সমস্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সাধারণ মানুষের কাজের ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখা দেবে৷ আদিবাসী নৃত্য থেকে শুরু করে সমস্ত কেনা বেচার নানারকম সুযোগ পান। আমিও সঠিক বিচার চাই৷ কিন্তা পাশাপাশি আপনারা সকলেই  আন্সদোলন ছেড়ে কাজে যোগ দিন৷”

   

কয়েকদিন আগেই এক সাংবাদিক বৈঠক করে কেনাকাটায় সবাইকে উৎসাহিত করতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বেঙ্গল শপিং ফেস্টিভ্যালের সাফল্য কামনা করি। সঙ্গে সঙ্গে বলব, সেল্ফ হেল্পগ্রুপগুলোকে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে স্টল দিতে। ছোট ছোট স্টল থাকলে মানুষজন কেনাকাটা করতে পারবেন। এতে বিক্রেতাদের ইনকাম হবে, ক্লাবগুলোরও ইনকাম হবে।”

Advertisements

গত শনিবার আন্দোলনকারীরা তাঁরা তাঁদের আন্দোলন তুলে নিয়ে কাজে ফিরেছেন৷ পুজোর আগে আজ রবিবার৷ এই সময়ে গড়িয়াহাট টু হাতিবাগানে শপিং করতে মানুষের ভিড় চোখে পরার মতো৷ রাস্তার ফুটপাত হোক বা শপিং মল ভিড় থাকে প্রচুর৷ আরজি কর আবহের পর আজ প্ররথম রবিবার তাই দেরি না করে ফুটপাত থেকে শপিং মলে ভিড় জমাচ্ছেন আমজনতা৷ স্বাভাবিক ভাবেই ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সকলের মুখেই ফুটছে হাসি৷