Kolkata: SSC দুর্নীতিতে মমতা সরকার ফের বিড়ম্বিত, হাইকোর্টে মামলা

নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠল কলকাতা হাইকোর্টে। দুর্নীতির অভিযোগে ফের আরও একটি মামলা দায়ের হাইকোর্টে। এইবার এসএসসি গ্রুপ সি পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। একই স্কুল, একই পদ,‌কিন্তু নিয়োগ প্রার্থী ২ জন, এরপরই আদালতের দ্বারস্থ প্রার্থীরা।

Advertisements

কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা ওঠার পরই স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে হাইকোর্টের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। কারা রেকমেন্ডেশন লেটার দিয়েছিল‌,যার সুপারিশে একই স্কুলে একই পদে দুজন প্রার্থীর চাকরি হয়; তার উত্তর এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে আদালতকে জানাতে পারেনি রাজ্য সরকারের এই দুই দফতর।

   

আবেদনকারী অরিন্দম মিত্রের আইনজীবি আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানান, ২০১৬ সালে গ্রুপ সি শূন্য পদে পদ নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। ২০১৯সালের ২০ই ডিসেম্বর রেকমেন্ডেশন লেটার ইস্যু করে এসএসসি। তারই ভিত্তিতে ২০২০ সালে রাজ্যের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে অরিন্দম মিত্রকে পূর্ব মেদিনীপুর শ্রীরামপুর এগ্রিকালচার হাই স্কুলে চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়।

নিয়োগপত্র পেয়ে স্কুলের যোগাযোগ করা হলে স্কুল কর্তৃপক্ষ অরিন্দম বাবুকে জানান,করোনা অতিমারীর কারণে স্কুল বন্ধ রয়েছে এবং স্কুল খোলার পরে অরিন্দম বাবুকে যোগাযোগ করার কথা বলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল খোলার পর অরিন্দম বাবু স্কুলে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান গ্রুপ সি পদে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মনোনীত অপর এক প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে।‌ বারংবার স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে,জেলা স্কুল পরিদর্শক, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং পর্ষদের কাছে লিখিত আবেদন জানানোর পরেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি তাঁরা।‌ বিষয়টি শিক্ষা দফতরের নজরে আনলেও কোন সুরাহা হয়নি।

Advertisements

আবেদনকারীর আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান, গ্রুপ সি পদে নিয়োগে দুর্নীতির আরও একটি মামলায় আবেদনকারী অরিন্দম মিত্রকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেই মামলায় সাবিনা ইয়াসমিনের পক্ষ থেকে মামলা করা হয় কিন্তু তা প্যানেলের লাইফটাইম পার হয়ে যাওয়ার পর। সেখানে দেখানো হয়েছে আবেদনকারী অরিন্দম মিত্রকে পূর্ব মেদিনীপুরের শ্রীরামপুর এগ্রিকালচার হাইস্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে। সেখান থেকে তিনি বেতন পাচ্ছেন। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন আবেদনকারীর আইনজীবি।

এস এস সি গ্রুপ সির এর দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৬ই জানুয়ারি। ওইদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে জানাতে হবে যাঁদের নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়েছে তাঁরা তালিকাভুক্ত ছিলেন কিনা? কোন পদ্ধতিতে তাঁরা চাকরি পেলেন তাও জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।