ঘন্টা ঘুরতেই পাল্টি শুভেন্দুর, নিজের সংখ্যালঘু লাইন নিয়ে দিলেন কী সাফাই?

বিজেপির (BJP) কর্মসমিতির বৈঠকে দলের সংখ্যালঘু মোর্চাকে ছেঁটে ফেলার কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikeri)। আর সেই মন্তব্যের জেরে জলঘোলা শুরু হয় দলের অন্দরে। শুভেন্দুর সরাসরি এই সংখ্যালঘু ‘আক্রমণ’ রাজ্যে মেরুকরণ আরও তীব্রতর করার উদ্দেশ্যেই। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও শুভেন্দুর এই মন্তব্যের সরাসরি সমর্থন জানায়নি রাজ্য বিজেপি। শমীক ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপি ১৪০ কোটি ভারতীয়দের কথাই ভাবে। বাংলার রাজনীতিতে হিন্দু-মুসলিম সবাই চলায় বিশ্বাসী বিজেপি। রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে ড্যামেজ কন্ট্রোল সামনে আসতেই ফের মুখ খোলেন শুভেন্দু অধিকারী। 

যোগীকে কোণঠাসা করতে উত্তরপ্রদেশ থেকেই সভাপতি চাইছেন মোদীরা?

Advertisements

এক্স হ্যাণ্ডেলে তিনি বলেন, “আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমি বলতে চেয়েছি যেই সমস্ত জাতীয়তাবাদী মানুষ বাংলা ও দেশের সঙ্গে রয়েছে বিজেপি তাঁদের সঙ্গে থাকবে। এবং যারা দেশের স্বার্থ বিরোধী কাজ করবে দল তাঁদের পাশে দাঁড়াবে না। শুভেন্দুর নিজের  এই মন্তব্যের পাল্টি খাওয়ায় আরও বেড়েছে জলঘোলা। 

এবার স্কুল পাঠ্যে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল-মহামেডনের ইতিহাস

কারণ লোকসভা ভোটের পর তাঁর নের্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক নেতাই। যদিও সেই ভরাডুবির দায় নিজের ঘাড়ে নিতে নারাজ তিনি। তারপর এবার সরাসরি সংখ্যালঘু মোর্চাকে বাদ দেওয়ার কথা বললেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের ধারনা, এতে তাঁর গলায় একরকম হতাশা ঝরে পড়েছে বলেই মনে করছে।

মাথায় হাত ভাইপো অজিতের! ‘পাওয়ার প্লে’-তে বাজিমাত শরদের

রাজনীতিক মহলের ধারণা,   বাংলার রাজনীতিতে আরও মেরুকরণ ঘটাতেই শুভেন্দু জেনেবুঝে এই মন্তব্য করেছেন। আর দলের মধ্যে সংখ্যালঘু মোর্চাকে বাদ দিতে চেয়ে সরাসরি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। এদিন শুভেন্দু বলেন, “পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাই না। এরাজ্যে হিন্দু ভোটকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাই। এখানে সমস্ত সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল পায়। অন্যদিকে, সিপিএম হিন্দু ভোট কেটে তৃণমূলকে জেতায়।” 

 

Advertisements