HomeWest BengalKolkata City'৭ দিনে ধর্ষকদের এনকাউন্টার করে মারা উচিত', আইন বদলের দাবি তুলে বিস্ফোরক...

‘৭ দিনে ধর্ষকদের এনকাউন্টার করে মারা উচিত’, আইন বদলের দাবি তুলে বিস্ফোরক অভিষেক

- Advertisement -

যোগীর উত্তরপ্রদেশে ‘এনকাউন্টার’ তত্ত্ব নিয়ে সোচ্চার তৃণমূল। কিন্তু, আরজি কর কাণ্ডের পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে সেই ‘এনকাউন্টার’ নিদান। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়িয়ে সাংসদ অভিষেক বললেন, ‘এমন মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। কিন্তু আমাদের দেশের আইন, বিচারব্যবস্থা এমন, আমাদের হাত-পা বাঁধা। কেন্দ্রের উচিত আইন সংশোধন করা। অর্ডিন্যান্স আনুক। তৃণমূল সমর্থন করবে। সাতদিনের মধ্যে ধর্ষকদের এনকাউন্টার করে মারা উচিত, না হলে ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত।’

শনিবার সন্ধ্যায় আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্রেনি ডাক্তারের খুনকে ‘মর্মান্তিক’ বলে দাবি করেছেন। ধর্ষকের সাজা নিয়ে আইন বদলের দাবি তুলেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গেই একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রকে। বলেছেন, ‘এমন মানুষের কি বেঁচে থাকার কোনও অধিকার আছে? এখন মামলা রুজু হয়েছে, কেস চলবে। কিন্তু বিজেপি সরকারের উচিত এমন অপরাধ রুখতে আইন সংশোধন করা। স্পিডি ট্রায়াল করে যত দ্রুত সম্ভব দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমরা চাই।’ ধর্ষণকাণ্ডে বিচারবিভাগে দীর্ঘসূত্রিতার বিরোধিতা করেছেন অভিষেক।

   

তৃণমূল সাংসদের প্রশ্ন, ‘কোনও ঘটনা না ঘটলে আমাদের ঘুম ভাঙে না। এধরনের ঘটনায় ৭ দিনের মধ্যে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই আইন আনা হয় না কেন? ইডি-র ডায়েরেক্টর বদল নিয়ে কেন্দ্র অর্ডিন্যান্স আনতে পারে, আর এই মামলা নিয়ে আনতে পারে না। চাইলেই আনা যায়। যারা ক্ষমতায় আছে তারা এই বিল আনুক। আইনসভায় অর্ডিন্যান্স আনুন। আইন সংশোধনী আনুন। যাতে সাতদিনে ধর্ষকদের বিচার করা যায়। তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম- সবার উচিত সেই বিলকে সমর্থন করা। কেন ৫-৬ বছর ট্রায়াল চলবে?’

কেন এনকাউন্টার? তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন তৃণমূলের ‘সেনাপতি’। তাঁর যুক্তি, ‘পারিপার্শ্বিক প্রমাণ থাকলে দ্রুত বিচার করা উচিত। না হলে অপরাধীকে জেলে খাওয়াতে-পরাতে যে খরচ হবে তা দিয়ে অনেক গরিব মানুষের কাজ করা যাবে।’

কড়া নির্দেশ আগেই দিয়েছেন, এবার আরজি করের মৃতাকে নিয়ে আরেক বড় সিদ্ধান্ত মমতার

আরজি কর কাণ্ড নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের হাথরাস এবং বিলকিস বানোর প্রসঙ্গও টেনে আনেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, একাধিক রাজ্যেই এমন ঘটনা ঘটে। হাথরাসের কথা সকলের মনে আছে। সেখানে তো মৃতদেহের খোঁজ মেলেনি। এই ঘটনা এখন যদি উত্তরপ্রদেশে হত তাহলে দেহ মিলত না। বিলকিস বানোর ঘটনাতেও সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। তৃণমূল সাংসদ বলছেন, ‘উন্নাও, হাথরাস, নির্ভয়া সমষ্টিগত ব্যর্থতা। রাজনীতি না করে আমাদের সকলের একজোট হয়ে এর বিরোধিতা করা উচিত।’

এ দিনই মুখ্যমন্ত্রী আরজি কর কাণ্ডে রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছিলেন, তাঁর সিবিআই তদন্তেও কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু অভিষেকের প্রশ্ন, ‘সিবিআই তদন্ত হলে কি মেয়েটি ফিরে আসবে? কেউ বলতে পারবেন, এই ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি হবে না?’

- Advertisement -
Business Desk
Business Desk
Stay informed about the latest business news and updates from Kolkata and West Bengal on Kolkata 24×7
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular