শান্তিনিকেতন থেকে অপহরণ করা হয়েছিল বিশ্বভারতী বিশবিদ্যালয়ের (Visva Bharati) গবেষক বর্মী ছাত্র পান্নাকে। অপহরণের দুদিনের মাথায় তার খোঁজ মিলল ওড়িশায়। তাকে তালসারি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কোটি কোটি টাকা চুল বিক্রির আন্তর্জাতিক ব্যবসা করত বর্মী যুবকটি। তার সাথে বিশ্বভারতীতে সংস্কৃত ভাষা নিয়ে গবেষণা করত
মায়ানমারের নাগরিক পান্নাকারা বিশ্বভারতীতে সংস্কৃত ভাষার গবেষক। সে থাকত শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রপল্লিতে। যে বাড়িতে ভাড়া থাকত সেখান থেকে বৃহস্পতিবার তাতে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। বর্মী যুবক পান্নার রুমমেটকেও অপহরণ করা হয়েছিল। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই যুবক পরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে সব জানান। অপহরণের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বোলপুর থানার পুলিশ। বিদেশি ছাত্র অপহরণের তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বর্মী যুবক পান্না কোটি কোটি টাকার আন্তর্জাতিক চুল রপ্তানি ব্যবসায়ী। বিশ্বভারতীতে পড়ার পাশাপাশি তার চুল রপ্তানির ব্যবসা চিন পর্যন্ত ছড়িয়েছিল।
ব্যাবসায়িক লেনদেনের কারণে তাকে শান্তিনিকেতনের ভাড়া বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার অপহরণ করা হয়। শনিবার ওড়িশার তালসারি থেকে উদ্ধার করা হয় ওই ছাত্রকে। এই ঘটনায় গ্রেফতার ১২ জন।
বোলপুর থানার তদন্তে উঠে এসেছে, বর্মী যুবক পান্নাকারার চুল রপ্তানির ব্যবসায় বীরভূমের অনেকে জড়িত। পান্নাকারা সে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে চুল সংগ্রহ করত। সেই চুল নিজের দেশ মায়ানমারে পাঠাত। সেই রফতানির চালান যেত চিনে। পান্নার সাথে যারা ব্যবসা করত তাদের পাওনা ছিল ৬ কোটি টাকা। তদন্তে উঠে এসেছে বকেয়া ৬ কোটি টাকার মধ্যে ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা মিটিয়ে দেয় পান্নাকারা। বাকি ৫০ লক্ষ টাকার জন্য তাত্ত্বিক অপহরণ করা হয়।