কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের জমি বেদখলের অভিযোগ তুললেন অধ্যক্ষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কাঁথি: বিরোধী শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ী ‘ শান্তিকুঞ্জ ‘ পেছনে কলেজের জমি দখলের অভিযোগ উঠলো। জমি দখল করে দোকান করে নেওয়ার অভিযোগ তুললেন কাঁথি…

নিজস্ব সংবাদদাতা, কাঁথি: বিরোধী শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ী ‘ শান্তিকুঞ্জ ‘ পেছনে কলেজের জমি দখলের অভিযোগ উঠলো। জমি দখল করে দোকান করে নেওয়ার অভিযোগ তুললেন কাঁথি প্রভাদ কুমার কলেজে অধ্যক্ষ অমিত কুমার দে। এমন অভিযোগের পর নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে হাতিয়ার করে মাঠে নেমে পড়েছে রাজ্যের বিরুদ্ধে দল বিজেপি।

কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সাম্প্রতিক কলেজের একাধিক সম্পত্তি দখল করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, কলেজের আশেপাশে খেলার মাঠ দখল করে দোকান পাট হয়ে যাচ্ছে। খেলার মাঠে বহিরাগতদের দাপট বাড়ছে। শনিবার এ বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কলেজের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দে।

কলেজের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দে’র তাঁর অভিযোগ,কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজে জায়গা ছিল প্রায় সাড়ে ১৮ একর। এটা কমতে কমতে এখন এসে পৌঁছেছে ১৭ একরে। কাঁথি কলেজের থেকে সেন্টাল বাসস্ট্যাণ্ড যাওয়ার পথে কলেজের জায়গায়। রাস্তা বড় ক্ষেত্র কাঁথি কলেজের জায়গা ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু কিছু ব্যক্তি নিজের স্বার্থে কলেজের জায়গায় বাড়ির কাজে ব্যবহৃত ইমারিত দ্রব্য ও দোকান করে ফেলছে। ব্যক্তিগতভাবে পুরসভা ও পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে কোন সূরহা হয়নি। বিগত দিনে কাঁথি পুরসভা বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বসেছে। আবারও পুরসভার তরফ থেকে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমা বসবে “।

আরও বলেন ” এ বিষয় কাঁথি পুরসভা পুরপ্রধান ও কাঁথি থানার আইসিকে বিষয়টি জানিয়েছি। করানোর সময় আমাদের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা সরস্বতী পূজার জন্যই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারপরেও সরস্বতী পূজা চালিয়ে যাচ্ছেন। পুজোর নাম করে যে পরিমান শব্দ দূষণ হচ্ছে। আশেপাশে মানুষ জন আপত্তি জানালেও আমি অসহায়। কলেজের ছাত্রছাত্রীরা যখন খেলার মাঠে যাই, তখনই কিছু বহিরাগতরা তাদেরকে হটিয়ে দেয় “।

কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজে পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি বলেন ” বিষয়টি আমার জানা নেই। কলেজ পরিচালন কমিটির মিটিংয়েও এমন অভিযোগ তোলেননি অধ্যক্ষ। বিষয়টি খোঁজ খবর দিয়ে দেখছি “।

এ বিষয়টি কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কাঁথি সাংগঠনীক জেলার বিজেপি নেতা অসীম মিশ্র বলেন ” কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজটির স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ইতিহাস। সেই ঐতিহ্যবাহী কলেজের সম্পত্তি বে-দখল হয়ে যাচ্ছে। খেলার মাঠ বহিরাগত -দের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। প্রশাসন’কে ধিক্কার জানাচ্ছি। বিজেপি নেতা নয়, প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে দাবি করছি প্রশাসন তড়িঘড়ি কড়া ব্যবস্থা নিক “।