AIMS: কল্যাণী এইমস নিয়োগ দুর্নীতি, বিজেপি সাংসদের দাবি চাকরি দিয়ে গর্ব অনুভব করি

কল্যাণী এইমস (AIMS) নিয়োগ দুর্নীতিতে বিজেপির দুই সাংসদ ও দুই বিধায়কের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। অভিযোগ, তারা প্রভাব খাটিয়ে আত্মীয় পরিচিতদের চাকরি দিয়েছেন। অভিযোগের জবাবে…

BJP

কল্যাণী এইমস (AIMS) নিয়োগ দুর্নীতিতে বিজেপির দুই সাংসদ ও দুই বিধায়কের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। অভিযোগ, তারা প্রভাব খাটিয়ে আত্মীয় পরিচিতদের চাকরি দিয়েছেন। অভিযোগের জবাবে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেছেন,চাকরি দিয়েছি। একজনকে চাকরি দিতে পারলে আমার গর্ব অনুভব করি। আগামী দিনে প্রভাব বাড়ে আরও দেব।

সাংসদ আরও বলেছেন, আগামী দিনে যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে দলমত নির্বিশেষে সকলকে চাকরি দেব।

কল্যাণী এইমসে চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, নদিয়ার রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, হরিণঘাটার বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ, বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা সহ কিছু বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে। কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগের জবাবে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ বলেছেন, তৃণমূল তোলাবাজি করে সব শেষ করে দিয়েছে। এসএসসি দুর্নীতি ঢাকতেই এই ষড়যন্ত করা হয়েছে।

কল্যানী এইমসে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ২০ মে কল্যাণী থানায় অভিযোগ করেন সরিফুল ইসলাম নামে মুর্শিদাবাদের এক বাসিন্দা। অভিযোগ, তিনি একজন চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু কয়েকজন বিজেপি নেতা টাকার বিনিময়ে নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে অনেককে কল্যাণীর এইমসে বিভিন্ন পদে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন।

এই ঘটনাকে ঘিরে চড়েছে রাজনৈতিক পারদ। কারণ, শিক্ষক নিয়োগ ও এসএসসি অন্যান্য পদে দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দুই মন্ত্রীর। সিবিআই জেরার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁদের। আর কল্যাণী এইমস নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়েছে বিরোধী দল বিজেপি। একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুড়ি শুরু করেছে তারা।