SSC Scam: ‘৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ পেয়ে যাব’, হাইকোর্টের রায় নিয়ে বিস্ফোরক কল্যাণ

‘ত্রুটিপূর্ণ রায়। ৫ মিনিটে আমরা সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ (SSC Scam) পেয়ে যাব। যারা চাকরি করছেন, তাঁদের সবাইকে বলব, আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন। কারও চাকরি যাবে না।…

Kalyan-Banerjee

‘ত্রুটিপূর্ণ রায়। ৫ মিনিটে আমরা সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ (SSC Scam) পেয়ে যাব। যারা চাকরি করছেন, তাঁদের সবাইকে বলব, আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন। কারও চাকরি যাবে না। কয়েকজনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার জন্য এভাবে পুরো প্যানেল বাতিল করে দেওয়া যায় না।’ হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করলেন আইনজীবী তথা শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে এই রায়ের প্রেক্ষিতে বিজেপিকেও নিশানা করেন কল্যাণ।

২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের এই নজিরবিহীন রায়ের ফলে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, এসএসসি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে। সুদের হার হবে বছরে ১২ শতাংশ। চার সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফেরত দিতে বলেছে আদালত।

আদালতের এই রায়কেই ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলেছেন কল্যাণ। যে সমস্ত চাকরিপ্রাপকের চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, তাঁদের আইনজীবীদের মধ্যে অন্যতম হলেন কল্যাণ বঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের রায় নিয়ে কল্যাণের মন্তব্যের পরই তাঁকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি তাঁকে ‘জোচ্চরদের প্রতিনিধি’ বলে কটাক্ষও করেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

হাইকোর্টের রায় নিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আশা করছি, নির্বাচিত সরকার আজকেই পদত্যাগ করবে। আমার ক্ষমতা থাকলে আমি কান ধরে টেনে নামাতাম। মিথ্যাচারী মুখ্যমন্ত্রী বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের ঠকিয়েছিলেন। চোর শিক্ষামন্ত্রী জেলে রয়েছে। আমার হাতেও ধরা পড়েছিলেন। আদালতেও ধরা পড়লেন। আজকের দিনে একটাই কথা বলব, ‘চোর-জোচ্চর’ মুখ্যমন্ত্রীর আর একটা দিনও ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়। ‘জোচ্চর’, তোমাদের ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত।

বাংলার রাজনীতি আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল এসএসসি নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলা। এই মামলায় সর্বপ্রথম চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে সেই মামলা ডিভিশন বেঞ্চে যায়। ডিভিশন বেঞ্চেও সেই নির্দেশ বহাল থাকে। এর পর মামলা গিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তবে দেশের শীর্ষ আদালত সমস্ত মামলা ফেরত পাঠায় হাইকোর্টে। মে মাসের মধ্যে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চকে রায় ঘোষণা করতে বলা হয়। সেই মতো আজ রায় ঘোষণা করা হয়।