Sukanta Majumdar: ধর্ম পরিবর্তনে বাধ্য করছেন কালিয়াচকের আইসি, অভিযোগ বিজেপি রাজ্য সভাপতির

মালদার কালিয়াচক থানার আইসি আমাদের মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে বলছে। এমন অভিযোগ তুললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এবিষয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন…

Sukanta majumdar

মালদার কালিয়াচক থানার আইসি আমাদের মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে বলছে। এমন অভিযোগ তুললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এবিষয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন তিনি।

ফেসবুক পোস্ট করে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, “কালিয়াচক থানার IC সাহেব এলাকার কিছু গরীব হিন্দু পরিবারকে জোরপূর্বক ধর্ম পরিবর্তনের জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে, এরই প্রতিবাদে ধর্ণায় বসেন উক্ত পরিবারের মহিলা এবং শিশুরা। তাদের আরো অভিযোগ তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের গ্রেফতার করে ধর্ম পরিবর্তনের চাপ দেওয়া হয়। এছাড়াও ঐ এলাকায় পূর্বে দুজন হিন্দুকে বলপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয়েছে”।

তাঁর আরও অভিযোগ,”গনতান্ত্রিক দেশ ভারতবর্ষ সংবিধান অনুসারে চলে এবং সংবিধানের ২৫ নং অনুচ্ছেদ ভারতের প্রত্যেকটি নাগরিককে তার ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিয়েছে। সেই স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের অর্থাৎ ক্ষমতায় বসে থাকা সরকারের। সেখানে একজন সরকারি পুলিশ অফিসার যিনি থানার ইন্সপেক্টর তিনি কিভাবে ধর্মান্তরিত হবার জন্য কোনো মানুষকে চাপ দিতে পারেন? এটা পুরোপুরি শাস্তিযোগ্য অপরাধ”।

এদিন কয়েকজন মহিলাকে মহিলাকে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে দেখা যায়। তাঁদের পোস্টারে লেখা কালিয়াচক থানার আইসি আমাদের মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে বলছে। বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে যাতে আমরা মুসলিম হই। আমরা আমাদের ধর্ম পরিবর্তন করতে চাই না। এমনকি ধর্মান্তরে রাজি না হওয়ায় একাধিকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তাঁরা।

সরাসরি শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে রাজ্য বিজেপির সভাপতির মন্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে চাকরি নেই, শিল্প নেই, সুশাসন নেই, বাক্ স্বাধীনতা নেই এছাড়াও নানান সমস্যা আছে তাই বলে সাধারণ মানুষের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা টুকুও থাকবে না? এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে ভাবতে বাধ্য করছে তৃতীয়বারের ক্ষমতালাভের পর কিছু নিষিদ্ধ গোষ্ঠী ক্ষমতার অলিন্দে থেকে মুখোশের আড়ালে তাদের স্বার্থ কায়েম করতে চাইছে না তো?”
তাঁর সাফ বক্তব্য, “সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে। এই পরিবার গুলোর অভিযোগ প্রশাসনকে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে এবং দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। না হলে আগামীদিনে বিজেপি পথে নেমে এর প্রতিবাদ করবে”।