সেই বিখ্যাত ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ TMC লাথি খাওয়া জয়প্রকাশ তৃণমূলী হচ্ছেন

বিজেপি নেতা ও প্রার্থী হিসেবে জয়প্রকাশ মজুমদার ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর নদিয়ার করিমপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে একটি মারাত্মক লাথি খেয়েছিলেন। তাঁর সেই লাথি খাওয়া ও ঝোপে…

সেই বিখ্যাত 'বন্ধুত্বপূর্ণ' TMC লাথি খাওয়া জয়প্রকাশ তৃণমূলী হচ্ছেন

বিজেপি নেতা ও প্রার্থী হিসেবে জয়প্রকাশ মজুমদার ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর নদিয়ার করিমপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে একটি মারাত্মক লাথি খেয়েছিলেন। তাঁর সেই লাথি খাওয়া ও ঝোপে ঢুকে মুখ কাঁচুমাচু করে তাকিয়ে থাকা ছবি আলোড়ন ফেলেছিল। এরপর যখন বিজেপির উত্থান বঙ্গে তখন জয়প্রকাশ ঘোরতর মমতার বিরোধী। এবার তিনি সেই লাথির দুঃখ ভুলে মমতার স্মরণাপন্ন। তৃণমূলী (TMC) হয়ে যাচ্ছেন।

নদিয়ার করিমপুরে জয়প্রকাশকে লাথি মেরে ঝোপে ঢুকিয়ে দিয়েছিল টিএমসি সমর্থকরা। এহেন নেতা আর পরে ওমুখো হননি। তিনি টিভিতেই সক্রিয় ছিলেন বিজেপির হয়ে।

   

বিধানসভা উপনির্বাচনে দলের ভরাডুবি, পরপর পরাজয়, এমনকি সিপিআইএমের নিচে গিয়ে তৃতীয় হয়ে যাওয়া দলের সমালোচনা করেন তিনি। পুরননিগম ও পুরনির্বাচনের আগে জয়প্রকাশকে সাময়িক সাসপেন্ড করে বঙ্গ বিজেপি। তিনি দল থেকে পুরোপুরি বহিষ্কৃত হয়েছেন।

joypraksh

Advertisements

কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি হয়ে টিএমসি শিবিরে যাওয়ার চক্রাকার গতিতে জয়প্রকাশের পিছনে আঠার মতো সেঁটে আছে করিমপুরের লাথি। জয়প্রকাশ মজুমদারকে সেই লাথির ব্যাথা সহ্য করে টিএমসি করতে হবে। কলকাতা ছেড়ে ফের কি তিনি করিমপুর যাবেন? জেলা তৃণমূল কংগ্রেসে হাসাহাসি শুরু হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভাঙন হুহু করে চলছে। বিরোধী দল হিসেবে বিধানসভায় থাকলেও দল যে রাজ্যে আর সে জায়গায় নেই তা স্পষ্ট সাম্প্রতিক ভোটগুলির ফলাফলে। তৃ়ণমূলেই তাই আসছেন জয়প্রকাশ। লাথি ঝাঁটা খেয়েও মানিয়ে নেবেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন।

এখান থেকেই প্রশ্ন, এবার কে? টিএমসিতে কি আরও বড় কেউ? নদিয়ার জেলা টিএমসি নেতারা মনে করছেন, বিজেপির বড় মুখ বলতে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গাঙ্গুলী। তারা আসার জন্য মরিয়া।