গণনা কেন্দ্র থেকেই ‘জয়ী’ জাহানারা ৭২ ঘণ্টা নিখোঁজ, ভাঙড়ে ঢুকতে মরিয়া নওশাদ

শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। মিটে গিয়েছে গণনা পর্ব। তবে পঞ্চায়েত ভোটে এখনও গরম পরিস্থিতি ভাঙড়ে। নিজ বিধানসভা এলাকায় ঢুকতে মরিয়া বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁকে আটকে…

শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। মিটে গিয়েছে গণনা পর্ব। তবে পঞ্চায়েত ভোটে এখনও গরম পরিস্থিতি ভাঙড়ে। নিজ বিধানসভা এলাকায় ঢুকতে মরিয়া বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও উত্তপ্ত পরিস্থিতি ভাঙড়। অপর দিকে, গণনার রাতে ভাঙড়ে ভয়াবহ সংঘর্ষের মাঝে নিখোঁজ হয়ে যান ISF প্রার্থী জাহানারা বেগম ও তাঁর স্বামী। ৭২ ঘণ্টা পার হলেও এখনও খোঁজ নেই জাহানারা এবং তাঁর স্বামীর।

পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হওয়ার পর রক্তাক্ত ভাঙড়ে ঢাকা যান নওশাদ সিদ্দিকি। তবে আইএসএফ বিধায়কের গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ।ভোট সন্ত্রাসে নিহত আইএসএফ কর্মীদের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ভাঙড়ের হাতিশালা মোড় থেকে কিছুটা দূরেই তাঁকে গার্ড রেল দিয়ে ব্যারিকেড করে আটকে দেয় বিশাল পুলিশবাহিনী।

   

পুলিশ জানায় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে তাই বিধায়ককে আটকানো হয়েছে। ১৪৪ ধারা ভেঙে বিধায়ক এলাকায় আবারও অশান্তির আবহ তৈরি হতে পারে বলে বিধায়ককে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে রয়েছেন ডিএসপি ক্রাইম-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।

এক মহিলা পুলিশ আধিকারিককে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন,“আমি বিধায়ক। অনেকে ফেক এমএলএ গাড়িতে লিখে ঘোরে। ফেক এমএলএ বিধানসভায় ঢুকে গিয়েছিল। আমি ফেক নই। আমার আইডি কার্ডও আছে। দেখতে পারেন।” তখন ওই মহিলা পুলিশকর্মী জানিয়ে দেন যে তাঁর কাছে ‘অর্ডার নেই সাহেব।‘ পাল্টা বিধায়ক বলেন, “আমি এলাকার বিধায়ক। আমি আমার এলাকায়ও যেতে পারব না?”

বিধায়ক নওশাদ বলেন, ““অন ক্যামেরা বলছি, এসপি ম্যাডামকে প্রস্তুত থাকতে বলুন। ওনার বিরুদ্ধে ক্যানিংয়ের দিকে একটা প্রশ্ন উঠেছে। আপনারা অনৈতিক কাজ করেছেন। কোর্টে জবাব দিতে হবে। তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে।”

এদিকে, পঞ্চায়েত ভোট গণনার সময় বারবার সামাজিক মাধ্যমে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (ISF) সমর্থকরা দাবি করছিলেন জেলা পরিষদের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারিয়েছেন আমাদের প্রার্থী জাহানারা বিবি (জাহানারা বেগম)। অথচ তাকে জয়ের সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না। গণনার রাতে ভয়াবহ সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়ে যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বিস্তির্ণ অঞ্চল। পরপর গুলিবিদ্ধ হবার খবর আসতে থাকে। এর মাঝে নিখোঁজ হয়ে যান জাহানারা বেগম ও তাঁর স্বামী। তাদের নিয়েই ভাঙড় জুড়ে প্রশ্ন,’ওরা কি বেঁচে আছে?’

আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের অনেকের অভিযোগ,গুলি করা হয়েছিল। তার পর থেকে জাহানারা বেগম ও তার স্বামী করিমুল মোল্লার খোঁজ নেই। উঠছে লাস গুম করার অভিযোগ। বাম – আইএসএফ জোটের দুই প্রার্থী কোথায়? এই প্রশ্ন ঘিরে বাড়ছে বিতর্ক।

মনোনয়ন পর্ব, ভোট গ্রহণ, ভোট গণনা সবকিছু শেষ হওয়ার পরেও এখনো পর্যন্ত উত্তপ্ত গোটা ভাঙড়। গণনার রাতে যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা সেই দিন থেকে নিখোঁজ এক আইএসএফ প্রার্থী ও জাহানারা খাতুনের স্বামী। অভিযোগ, গোটা ঘটনায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে পুলিশ।