বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু। প্রতিবাদে পথে ভারতের সংখ্যালঘু। শুক্রবার কলকাতার রাজপথে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (ISF)। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাস অভিযান। মহম্মদ ইউনুস পরিচালিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক।
এখানেই অনেকের প্রশ্ন, এই প্রতিবাদে সিপিআইএম কোথায়? অন্য বাম দলগুলিই বা কী করছে? সিপিআইএমের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের মৌলবাদীদের সমালোচনা করা হয়েছে। অনেকেই বলছেন, সাবধানী বিবৃতি দিয়েছে সিপিআইএম।
লাল ঝান্ডা নিয়ে মিছিল। স্লোগানে সরগরম কলকাতার রাজপথ। কর্মী বা সমর্থকদের বেশিরভাগ বাঙাল। ওপার বাংলার প্রতি পাহাড় প্রমাণ আবেগ। সেই পদ্মাপাড়ের বাংলা এখন জ্বলছে। সে দেশের সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত। উত্তরপ্রদেশের আখলাক কিংবা রাজস্থানে(মালদা)র আশরাফুলকে নিয়ে প্রতিবাদের কণ্ঠ এখন চুপ। মাস খানেক আগে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় ঝড় তোলা প্রোফাইলগুলো যেন ঝিমিয়ে পড়েছে।
এরই মাঝে কলকাতার রাজপথে ঝড় তুলল আইএসএফ। বেকবাগানে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের সামনে চলল বিক্ষোভ। আন্দোলনকারীদের প্রায় সবাই ভারতের সংখ্যালঘু। ধর্মে মুসলিম। আর মুসলিম প্রধান বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবিতে সরব হলেন আইএসএফের নেতাকর্মীরা। এ দিন নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা সংখ্যাগুরুদের কর্তব্য। সেটা ভারত হোক বা বাংলাদেশ। পড়শি বাংলাদেশকে আমরা এই বার্তা দিতে চাই।”
একুশের বিধানসভা ভোটে বামেদের শরিক ছিল আইএসএফ। চব্বিশের লোকসভা ভোটে জোট হয়নি। তবে বিধানসভা উপনির্বাচনে আংশিক জোট দেখা গিয়েছে। সেই শরিকদল বাংলাদেশ নিয়ে পথে নামলেও সিপিআইএম নেই কেন? প্রতিবাদের পথ ছেড়ে এই শীতঘুমের কী কারণ?
এ নিয়ে সিপিআইএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “বিজেপি এ রাজ্যে আন্দোলনের নামে অশান্তি ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশের অশান্তি এখানে ইমপোর্ট করছে বিজেপি। আমরা পথে নামলে এর বিরুদ্ধে নামবো। আমরা এখানের মানুষের শান্তি চাই, ওখানেও শান্তি চাই।” সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বাংলাদেশ প্রসঙ্গে নিয়ে বলেন, “সিপিআইএম লাল ঝান্ডা নিয়ে ঐক্যের জন্য মিছিল করেছে। আবার কিছু লোক উস্কানি দিয়ে হিন্দু মুসলিম ভাগাভাগি করছে। সিপিআইএম ঐক্য ও সম্প্রীতির জন্য লড়াই করছে। লক্ষ্য একটাই যেন ধর্মের সাথে রাজনীতিকে যেন না মেশানো হয়।”