‘গুলি চলছিল তখন…’ ভাঙড় থেকে পলাতক ISF-এর জাহানারার খোঁজ মিলল

পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিন ভাঙড় ছিল রক্তাক্ত। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই সংঘর্ষ কবলিত এলাকায় আইএসএফের জেলা পরিষদ প্রার্থী জাহানারা বেগম ও তার স্বামী নিখোঁজ হয়ে…

পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিন ভাঙড় ছিল রক্তাক্ত। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই সংঘর্ষ কবলিত এলাকায় আইএসএফের জেলা পরিষদ প্রার্থী জাহানারা বেগম ও তার স্বামী নিখোঁজ হয়ে যান। প্রায় এক সপ্তাহ পরে নিখোঁজ আইএসএফ প্রার্থীকে উদ্ধার করল পুলিশ। গণনার রাতে ভাঙড়ে একাধিক গুলিবিদ্ধ হয়। কয়েকজন মারা যায়। জখম হন পুলিশ অফিসার ও তার দেহরক্ষী। এই সময় থেকে জাহানারা ছিলেন নিখোঁজ। আইএসএফ দাবি করে, জয়ী হলেও জাহানারাকে সার্টিফিকেট দিতে দেরি করা হচ্ছিল।

বুধবার সকালে জাহানারা বেগমকে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ থানার ইটভাটা পাড়া এলাকা থেকে খুঁজে বের করে পুলিশ। জেলা পুলিশ জানিয়েছে তাঁর নাম জাহানারা খাতুন (জাহানারা বেগম)। জাহানারা ও তার স্বামী কারিমুল মোল্লা নিখোঁজ ছিলেন। রবিবার রাতে দীঘা থেকে ফেরার সময় দমদম থেকে পুলিশ কারিমুল ও তার দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করে। কারিমুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে জাহানারা আছে মিনাখাঁয় তার বাবার বাড়িতে। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় তাকে।

   

গণনার দিনে শেষ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন। এক জন আইএসএফের জাহানারা বিবি এবং অন্যদিকে তৃণমূলের খাদিয়া বিবি। জানা গিয়েছে শেষ গণনায় এই জাহানারা বিবি ৫ হাজার ভোটে এগিয়ে যায় বলে মাইকিং করা হয়। এরপর থেকেই গণনা কেন্দ্রে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে। চারিদিকে চলে গুলি, বোমা। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তিনজনের।

এরপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় জাহানারা বিবি।এই বিষয়ে ক্যানিং পশ্চিমের তৃ়ণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ নাটক করা হয়েছে আইএসএফের পক্ষ থেকে। মিথ্যে কথা বলছে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাশিপুর থানার পুলিশ।