Emerging Asia Cup: শ্রীলঙ্কার প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে যুযুধান দুই দেখের দ্বৈরথে অবশেষে জয় হল ভারতের। পাকিস্তান ‘এ’ কে ৮ উইকেটে মুষড়ে দিল ভারত ‘এ’। টস জিতে আগে ব্যাট করতে মহম্মদ হ্যারিসের পাকিস্তান ‘এ’। পরপর উইকেট পরতে থাকে পাকিস্তানের। শুরুতেই ওপেনার সাইম আয়ুব বিদায় নেন রাজবর্ধন হাঙ্গরেকারের বলে। তারপরেই সেই হাঙ্গরেকারের বলেই আউট হন ৩এ নামা ওমেইর ইউসুফ। দুজনেই একটা রানও করতে পারেননি। ৭ রানের মাথায় ২ উইকেট চলে যায় পাকিস্তানের।
আরেক ওপেনার সাহিবযাদে ফারহান ডাগআউটের পথে হাঁটেন, সৌজন্য রিয়ান পরাগ। তারপরে মানব সুথার এসে উইকেট নেন যথাক্রমে কামরান ঘুলাম হাসবুল্লাহ খান এবং পাক অধিনায়ক হ্যারিসের। ৭ নম্বরে নেমেও আকর্ষণীয় ইনিংস খেলেন কাষিম আক্রাম। খেলেছেন কিছু অসাঝারণ শটও। সাথে ছিলেন মুসাবির খান (২৮)। নিশান্ত সিন্ধু এসে উইকেট নেন তাঁর, ভাঙেন সাত উইকেটে গড়া ৫০ রানের পার্টনারশিপ।
হাঙ্গরেকারের বলে স্লিপে একটি অসাধারণ ডাইভ মেরে তাঁর ক্যাচ নিয়ে কাসিমের ৪৮ রানে ইনিংসও শেষ করে দেন হর্ষিত রানা। হাঙ্গরেকার এসে পরের দুটি উইকেট নিয়ে ২০৫ রানে গুটিয়ে দিন পাকিস্তানকে।
বলা বাহুল্য , স্টাম্পের পিছনে অসাধারণ খেলেছেন ধ্রুভ জুড়েল। চাযটে উইকেটে অবদান রয়েছে তাঁর। মাঝে রিয়ান পরাগের বলে বুকে অল্প চোট পেলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরোদমে কিপিং করেন তিনি।
২০৬ রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই ২০ রানে আউট হয়ে যান ভারতের সহ অধিনায়ক অভিষেক শর্মা। মেহরান মুমতাজের বলে কিপারকে ক্যাচ দিয়ে চলে যান নিকিন জোস। ভারতের ঝুলিতে জোগ করে দিয়ে যান ৫৩ রান।।
জোসের সাথে অনেক আগেই ভারতকে জেতানোর কাজ শুরু খরে দিয়েছিলেন সাই সুদর্শন। ৮১ বলে ২ রান বাকি থাকতেই একটি বড়ো ছয় মেরে ম্যাচ জিতিয়ে দেয় সুদর্শন। সাথে সাথে পুরণ করেন তার সেঞ্চুরি। ১১০ বলে ১০৪ রানের অপ্রতিরোধ্য ইনিংস খেলেন তিনি, সাজিয়েছেন ১০টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। দলে জয় অধিনায়ক যশ ধুল এসে ২১ রানের অবদান রাখেন।