গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ (Kaliyaganj)। বুধবার এই ঘটনায় তাত্পর্যপূর্ণ মন্তব্য করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন বিহার থেকে লোকজন আনা হয়েছিল। অবিলম্বে ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছে তাদের চিহ্নিত করার ও কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এবার উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করল প্রশাসন। কালিয়াগঞ্জের কিছু অংশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে কোনওভাবেই ভুয়ো খবর ছড়িয়ে না পড়ে, তাই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে।
আজ ফের সকাল থেকেই উত্তাল হয়ে উঠল কালিয়াগঞ্জ। সকাল থেকেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কালিয়াগঞ্জে বিজেপি সমর্থকরা। প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ উত্তরবঙ্গ জুড়ে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি।
সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয় এক নাবালিকাকে। তারপর থেকেই উত্তাল হয়েছিল কালিয়াগঞ্জ। সদ্য কালিয়াগঞ্জের কাছেই পুলিশের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে এক ব্যক্তির। এসব নিয়ে কালিয়াগঞ্জ ও সংলগ্ন এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি। উল্লেখ্য, এই ঘটনার পরপরই প্রতিবাদ মিছিল করে বিজেপি। বিজেপির তরফে একটি পথসভাও করা হয়।
বিজেপি সভাপতি পার্থ পাল বলেন, “বাংলার পুলিশ আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ নিজেদের কাজের চেয়ে তৃণমূল নেতাদের সুবিধা দিতে বেশি ব্যস্ত। এখন পুলিশকে পুলিশ না বলে টিএমসি কর্মী বললে সঠিক হবে।” তিনি এও জানান, এই ঘটনার বিরুদ্ধে থানা ঘেরাও করবে বিজেপি।
কালিয়াগঞ্জ নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। তবে বন্ধের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। বাংলার মানুষ বনধের রাজনীতি চায় না বলে দাবি করেছেন কলকাতার মেয়র তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম।