সরকারি প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে রক্তাক্ত তৃণমূল নেতা

নিজস্ব সংবাদদাতা, রামনগর: সরকারি প্রকল্পে উন্নয়নের কাজ দেখশোনা করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা দেপাল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনুপ কুমার মাইতি৷ শুধু আক্রান্ত…

নিজস্ব সংবাদদাতা, রামনগর: সরকারি প্রকল্পে উন্নয়নের কাজ দেখশোনা করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা দেপাল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনুপ কুমার মাইতি৷ শুধু আক্রান্ত নয়, রক্তাক্ত অবস্থায় জখম হয়ে রামনগরের বড়রাঙ্ককুয়া হাসপাতালে ভর্তি হলেন তিনি৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷

ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি কটাক্ষ করেছে৷ সূত্রের খবর, রামনগর ২ ব্লকের দয়ানিধিবাড় গ্রামের সরকারি প্রকল্পে পুকুর পাড়ে গাড়োয়াল তৈরি করার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। পুকুরের মালিক তপন মাঝি ও রতন মাঝি তৈরি করার ক্ষেত্রে বাঁধা দেয়। সোমবার দুপুরে ঘটনা খতিয়ে দেখতে হাজির হন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনুপ কুমার মাইতি সহ পঞ্চায়েত সদস্য অরূপ মাইতি সহ অন্যান্যরা।

তাঁদের দাবি, দ্রুত পুকুর শুকিয়ে ফেলতে হবে, তাহলে দ্রুত পাইপলাইনে কাজ সম্পন্ন হবে। তারপরেই পুকুরের দুই মালিকের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। তারপরে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়। উত্তেজিত অবস্থায় পুকুরের মালিক তপন মাঝি ও রতন মাঝি পঞ্চায়েত সদস্য অরূপ মাইতি ও পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য তথা প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনুপ মাইতির চড়াও হয়।

অভিযোগ, নাক ফেটে যায়, হাতে গুরুতর জখম হন। এরপর তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা দু’জনকে উদ্ধার করে রামনগরে বড়রাঙ্ককুয়া হাসপাতলে নিয়ে আসেন। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। রামনগর থানার সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূল কর্মী সর্মথকরা। অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরেরা।

পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনুপ কুমার মাইতি বলেন, ‘‘মানুষের দাবি মেনে পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে গাড়োয়াল তৈরি করার কাজ চলছিল। ব্লক থেকে গাড়ওয়াল তৈরির জন্য পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। পুকুরের মালিককে জানিয়েছিলাম জল শুকিয়ে দিতে হবে, গাড়োয়াল তৈরি করতে হবে। ওই এলাকায় দশ হাজার মানুষ রয়েছে। রামনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। উনাদের পরিবার সমস্ত সরকারি প্রকল্প বন্ধ করে৷’’

অভিযোগ ওঠা এক যুবক তপন কুমার মাঝির কথায়, ‘‘কোন আক্রান্ত হয়নি। এখনি পুকুর শুকাতে হবে। পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য অনুপবাবুকে বলে ছিলাম, গ্রামে এমন উন্নয়ন করবে বিকল্প যাতে খুঁজে না পান। আমি সরকারি উন্নয়নের পক্ষে। মারধরের ঘটনার ঘটেনি৷’’

এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতা অসীম মিশ্রের বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল নেতারা গায়ের জোরে নিজের রায়তো সম্পত্তি দখল করে রাস্তা তৈরি করছিল। বাধা দিতেই গ্রামবাসীদের নামে মিথ্যা মামলা করছে। আইনি দ্বারস্থ হতে বলবো৷’’