Purba Bardhaman: খুন্না গ্রামে ৫০০ বছরের রীতি, মুসলিমরাও করেন মনসা আরধনা

মনসা পুজোকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অন্যতম নজির গড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) ভাতার ব্লকের খুন্না গ্রাম। প্রায় পাঁচশো বছরের ধর্মীয় রীতি মেনেই মুসলিম…

Purba Bardhaman: খুন্না গ্রামে ৫০০ বছরের রীতি, মুসলিমরাও করেন মনসা আরধনা

মনসা পুজোকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অন্যতম নজির গড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) ভাতার ব্লকের খুন্না গ্রাম। প্রায় পাঁচশো বছরের ধর্মীয় রীতি মেনেই মুসলিম বাড়ি থেকে পুজো আসার পর শুরু হয় খুন্না গ্রামের এই মনসা পুজো। এই দিন মন্দির চত্বর জুড়ে সমাগম হয় বহু ভক্ত।

সকাল থেকেই গ্রামের সমস্ত ধর্মাবলম্বী মানুষজন পুজো প্রাঙ্গণে মিলিত হয়। এবং এই দিন গোটা গ্রামবাসীরা অরন্ধন পালন করেন। গ্রামবাসীরা এই রীতিনীতি মেনে আসছে প্রায় ৫০০ বছর ধরে। কোনও বাড়িতে এদিন উনুনে রান্না হয় না। মা মনসার পুজো শেষের পরে প্রত্যেক বাড়িতে আগুন জ্বেলে রান্না বসানো হয়।

ঐতিহাসিক এই ৫০০ বছরের পূজোকে কেন্দ্র করে আনন্দে মাতোয়ারা বহু মানুষ। প্রথমে গ্রামের মুসলিম কাজীবাড়ি থেকে নৈবেদ্য আসে। তারপর শুরু হয় পুজোর কাজ। পুজো শেষে কাজী বাড়ির সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির কপালে দেওয়া হয় ফোঁটা। তারপর কপালে ফোঁটা নিয়ে কাজী বাড়ির বয়স্ক ঐ ব্যক্তি শুরু করেন রান্নার কাজ।

Advertisements

এদিন গ্রামের হিন্দু মুসলিম মিলে একটি যাত্রার আয়োজন করেন। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার এই যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে গোটা দেশ জুড়ে ধর্মীয় বিদ্বেষ, কলহ বর্তায়মান। সেখানে খুন্না গ্রামের এই হিন্দু মুসলিম মিলন যেন নজর কেড়েছে সকলের।

গ্রামবাসীরা জানিয়েছে, তারা সকাল থেকে উপশ করে থাকেন। কোনও ঘরে আগুন জ্বালানো হয়না। মা মনসার পুজোর শেষে আগুন জ্বেলে রান্না হয়। সকলেই সকাল থেকে ভক্তি সহকারে মায়ের উপাসনা করেন।