রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে মমতাকে নিজে পুরস্কার দিতেন: শুভাপ্রসন্ন

সাহিত্যচর্চার জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এ নিয়ে তীব্র বিতর্ক। এই বিতর্কে আগুন দিলেন চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন (Shubhaprasanna)। তৃণমূল কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ শুভাপ্রসন্ন…

Mamata Banerjee with Shubhaprasanna

সাহিত্যচর্চার জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এ নিয়ে তীব্র বিতর্ক। এই বিতর্কে আগুন দিলেন চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন (Shubhaprasanna)।

তৃণমূল কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ শুভাপ্রসন্ন জানান, মমতা বন্দোপাধ্যায়কে এই পুরস্কার দেওয়াতে কোনও অন্যায় দেখছেন না তিনি। মমতার পুরস্কার পাওয়ায় একশ্রেণীর সাহিত্যিকদের সমালোচনা তা লজ্জিত করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

শুভাপ্রসন্ন বলেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়কে যারা আক্রমণ করছেন এই পুরস্কারপ্রাপ্তিতে, সেই সাহিত্যিকরা আসলে ঈর্ষাকাতর। এরপরেই তাঁর সংযোজন, রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে নিজের হাতে পুরস্কৃত করতেন মমতাকে।

পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির নামাঙ্কিত রিট্রিভার্সিপ পুরস্কার দেওয়া চালু হয়েছে এই বছর থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর নিরলস কবিতা সাধনা এবং তাঁর কবিতা বিতান কাব্যগ্রন্থের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

তারপর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিট্রিভার্সিপ পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিবাদে লোকসংস্কৃতি গবেষক ও সাহিত্যিক রত্না রশিদ ব্যানার্জি ফিরিয়ে দিয়েছেন ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা একাডেমি থেকে পাওয়া “অন্নদাশঙ্কর রায় স্মারক সম্মান”। তাঁর মতে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সাহিত্যিক হিসেবে পুরস্কৃত করে আসলে অপনাম করা হয়েছে সেই সব সাহিত্যিকদের, যারা সত্যিই নিরলস সাহিত্য সাধনা করে চলেছেন।

রত্না রশিদ ব্যানার্জি বাংলা আকাদেমি কে লেখা একটি চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমি রত্না রশীদ ব্যানার্জী ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির তরফ থেকে অন্নদা শঙ্কর রায় স্মারক সম্মানে ভূষিত হয়েছিলাম। আমি তখন সেই সম্মান সকৃতজ্ঞ চিত্তে গ্রহণ করি।

সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে আমি অবহিত হলাম যে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি একটি নতুন পুরস্কার ঘোষনা করে প্রারম্ভিক বছরের সেই পুরস্কার পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অর্পণ করেছে বাংলা সাহিত্যে তাঁর নিরলস সাধনার স্বীকৃতি হিসেবে। এই অভিধার চেয়ে বড় সত্যের অপলাপ হতে পারে না।’