Nadia: ফের বাম ছাপ দেওয়া শয়ে শয়ে ব্যালট উদ্ধার, কৃষ্ণগঞ্জে চাঞ্চল্য

পঞ্চায়েত ভোটের দিন লুঠ হওয়া শতাধিক ব্যালট পড়ে আছে নদীর ধারে, মাঠে। শয়ে শয়ে ব্যালট। কোনোটা ফাঁকা, কোনোটায় বাম প্রার্থীদের প্রতীকে ছাপ মারা। কিছু বিজেপির…

পঞ্চায়েত ভোটের দিন লুঠ হওয়া শতাধিক ব্যালট পড়ে আছে নদীর ধারে, মাঠে। শয়ে শয়ে ব্যালট। কোনোটা ফাঁকা, কোনোটায় বাম প্রার্থীদের প্রতীকে ছাপ মারা। কিছু বিজেপির প্রতীকেও ছাপ মারা ব্যালট মিলেছে বলে জানান এলাকাবাসী। উদ্ধার হওয়া ব্যালট দেখে ক্ষোভ প্রবল। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস এই ব্যালট লুঠ করেছিল। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।

এদিন সকালে কৃষ্ণগঞ্জে মাথাভাঙা নদীর তীরে প্রচুর বৈধ ব্যালট পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। কৌতুহলী অনেকে সেই ব্যালটের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এর পর শুরু বিতর্ক।

সেই ছবি দেখে নদিয়া জেলা সিপিআইএম নেতৃত্ব সরাসরি পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন। অন্যদিকে বিজেপির তরফেও পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হয়। দ্রুত ঘটমাস্থলে যায় পুলিশ। পড়ে থাকা গুচ্ছ গুচ্ছ ব্যালট উদ্ধার করা হয়।

এলাকাবাসীর দাবি, পঞ্চায়েতে ভোটের দিন কৃষ্ণগঞ্জের একাধিক ভোট কেন্দ্র ছিলনা কোনও নিরাপত্তা। ফলে অবাধে ব্যালট লুঠ হয়েছে। সেই লুঠ করা ব্যালট এখন মিলছে। সিপিআইএম ও বিজেপির তরফে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ব্যালট লুঠের অভিযোগ আনা হয়েছে। শাসকদলের দাবি সব অপপ্রচার। ভোটে কৃষ্ণগঞ্জ ছিল শান্তিপূর্ণ।

নদিয়া জেলা সিপিআইএমের দাবি, ভোট লুঠ ও গণনা সঠিক হলে জেলার পঞ্চায়েত ফলাফল বাম পক্ষে যেত। কারণ মানুষ তৃণমূলের শাসনে বীতশ্রদ্ধ আর বাংলায় বিজেপির রাজনীতি শুকিয়ে গেছে। জেলা বিজেপির দাবি, সঠিক ভোট হলে কৃ্ষ্ণগঞ্জের বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতে জয় নিশ্চিত ছিল। তৃণমূল জানিয়েছে, কৃষ্ণগঞ্জবাসী মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন। তারাই জিতিয়েছেন।