“কে আমায় প্রতিষ্ঠিত হার্মাদ-খুনি বলল, কি যায় আসে!” লিখলেন প্রেরণার বাবা

মেয়ে প্রেরণা উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ হয়েছে। সাফল্যের পর তার মন্তব্য নিয়ে তীব্র আলোচনা চলছে। প্রেরণা জানিয়েছিল, এই দুর্নীতিতে ভরা রাজ্য আমার রাজ্য নয়। আমার বাংলা নয়।…

মেয়ে প্রেরণা উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ হয়েছে। সাফল্যের পর তার মন্তব্য নিয়ে তীব্র আলোচনা চলছে। প্রেরণা জানিয়েছিল, এই দুর্নীতিতে ভরা রাজ্য আমার রাজ্য নয়। আমার বাংলা নয়। প্রেরণার মন্তব্য রাজ্যে সাম্প্রতিক তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগকে কটাক্ষ এটাই স্পষ্ট। এবার মেয়ের সাফল্যের পর বাবা অশোক পালের একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক শোরগোল পড়ল। তিনি CPIM নেতা।

উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার সিপিআইএম নেতা অশোক পাল লিখেছেন, “কে আমায় প্রতিষ্ঠিত হার্মাদ বলল,কে খুনী বলল, কি যায় আসে!”

উল্লেখ্য বাম জমানায় নন্দীগ্রামে গুলিচালনা, নেতাই গণহত্যার মতো আরও কিছু ঘটনার জেরে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল সিপিআইএমের ডাকাবুকো সমর্থকদের হার্মাদ বলে কটাক্ষ শুরু হয়েছিল। বাম জমানার পরেও শব্দটি নিয়ে সিপিআইএমকে লাগাতার কটাক্ষ করে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস।

উচ্চমাধ্যমিকের কৃতী প্রেরণা পালের বাবা অশোক পাল সেই ‘হার্মাদ’ শব্দটিকে নিয়ে লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, “সাধারণ মানুষের সাথে আমাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক! মেয়ে ভালো রেজাল্ট করার ফলে স্বাভাবিকভাবেই সমাজের সর্বস্তরের মানুষের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়েছে।কিন্তু আমাকে বিস্মিত করেছে সমাজের সেই সমস্ত অনালোকিত মানুষগুলোর আনন্দের বহিঃপ্রকাশ দেখে। নারায়ণ মজুমদার এক সময় ছুতোর মিস্ত্রির কাজ করতেন। গোবরডাঙ্গার সিপিআইএম পার্টির সদস্য। ২৪ তারিখ দুপুরবেলা তার বউমা তাকে জানালো যে, আমাদের অশোক স্যারের মেয়ে উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ হয়েছে। ২৫ তারিখ সকালেই মিষ্টি নিয়ে হাজির অশীতিপর অসুস্থ নারায়ণ মজুমদার। আশীর্বাদ জানালো নাতনিকে।এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে বলুন তো! কাজল বণিক বাড়ি বাড়ি কাগজ ফেরি করে।ভাইঝির সাফল্যে চোখ দিয়ে জলের ধারা বয়ে গেল! তার ভাইঝির সাফল্যে সে মনে করছে তার মেয়েই যেনো ভালো ফল করেছে! টোটো চালক সাহাবুদ্দিন-সেও যেতে যেতে বলে গেল, স্যার,কেকার রেজাল্টে কি খুশি হয়েছি।সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এই আশীর্বাদ, এই আবেগ পাওয়া একজন হার্মাদই হই বা আর কিছু হই-কি কম প্রাপ্তি!!”