Bayron Biswas: তৃণমূল বিধায়ক বাইরন যেন ছোটখাটো শেখ! তার সম্পত্তি দেখে নিন

সাগরদিঘির উপ নির্বাচনের আগে বাইরন বিশ্বাসের (Bayron Biswas) নাম সেভাবে চর্চায় আসেনি কখনও। কংগ্রেস ও বাম জোটের প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করার পর চর্চায়…

How much property does Trinamool MLA Byron Biswas own?

সাগরদিঘির উপ নির্বাচনের আগে বাইরন বিশ্বাসের (Bayron Biswas) নাম সেভাবে চর্চায় আসেনি কখনও। কংগ্রেস ও বাম জোটের প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করার পর চর্চায় আসেমুর্শিদাবাদের তরুণ ব্যবসায়ীর নাম। বিড়ি ব্যবসায়ীর ছেলে বাইরন খুব কম বয়স থেকেই ব্যবসার হাল ধরতে শুরু করেছিলেন। তবে রাজনীতির ধারে-কাছে থাকতেন না। জীবনের মোড় ঘুরে গেছিল সাগরদিঘির উপনির্বাচনে তৃ়ণমূলকে হারানোর পর।

এবার বাইরনের ঘরে আয়কর তল্লাশিতে মিলেছে বিপুল অর্থ। তবে বাইরন আর জোটের বিধায়ক নন। তিনি তৃ়নমূলের বিধায়ক। সাগরদিঘির বাইরন বিধানসভায় তখন বিরোধী আসনে। তার সাথী ছিলেন ভাঙড় থেকে জয়ী নওশাদ সিদ্দিকি। তবে বাইরন বিশ্বাস বেশিদিন জোটের ঘর করেননি। তিনি কংগ্রেস ছেড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন। এখন তিনি তৃ়নমূলের ঘরের লোক। বিড়ি কারখানা, কাগজ কারখানার পাশাপাশি নার্সিংহোমের মালিকও তিনি।

   

বুধবার বাইরন বিশ্বাসের সামশেরগঞ্জের বাড়ি থেকে মিলেছে থরে থরে সাজানো টাকা। নগদ ৭১ লক্ষ নগদ টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে তার সম্পত্তি যেন ছোটখাটো আরব শেখের সমান।

সাগরদিঘি উপ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন বাইরন বিশ্বাস, তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭-১৮ সালে তাঁর আয় ছিল ৩৫ লক্ষ ৯৩ হাজার ২ টাকা। ২০১৮-১৯ সালে সেই আয় বেড়ে হয় ৬৯ লক্ষ ১৬ হাজার ১৪৯ টাকা। ২০১৯-২০ সালে বায়রনের আয় ছিল ৪৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৪০ টাকা। ২০২০-২১ সালে আয় ছিল ৪০ লক্ষ ৪২ হাজার ১৭০ টাকা। ২০২১-২২ সালে আয় বেড়ে হয় ৫৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৮৭০ টাকা।

স্ত্রী সূরিয়া বিশ্বাসও বছরে লক্ষাধিক টাকা আয় করেন। আয়করের হিসেব সে কথাই বলছে। ২০১৭-১৮ সালে আয় ছিল ২২ লক্ষ ২১ হাজার ৮৮ টাকা। ২০১৮-১৯ সালে সেই আয় বেড়ে হয় ৪৫ লক্ষ ৪৪ হাজার ৩৬৫ টাকা। ২০১৯-২০ সালে সূরিয়ার আয় ২০ লক্ষ ১২ হাজার ৬০০ টাকা। ২০২০-২১ সালে আয় ছিল ২৬ লক্ষ ৭১ হাজার ৯৪০ টাকা। ২০২১-২২ সালে আয় বেড়ে হয় ৪১ লক্ষ ৬১ হাজার ৩০০ টাকা।

হলফনামা অনুযায়ী, বাইরনের হাতে সেই সময় নগদ ছিল ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা আর স্ত্রীর কাছে ছিল ৮৫ হাজার নগদ টাকা। এছাড়া বায়রনের একটি স্টেট ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ছিল ১৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। ছিল আরও চারটি অ্যাকাউন্ট। তাঁর স্ত্রী সূরিয়ার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫২ হাজার টাকা ও অপর অ্যাকাউন্টে ৩১ লক্ষ টাকার কিছু বেশি ছিল।

বাইরনের নিজের বেশ কিছু ব্যবসা আছে। নার্সিংহোম, তামাক স্টোরে ছাড়াও একাধিক জীবন বিমাও রয়েছে তাঁর নামে। আর তাঁর স্ত্রী বিনিয়োগ করেছেন দুটি বিড়ি সংস্থায়। একটি সংস্থায় ২ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছিলেন সূরিয়া। বাইরনের নামে একটি ব্যক্তিগত লোন ছিল।

হলফনামা অনুযায়ী, বাইরনের গ্যারাজে রয়েছে একটি গাড়ি, যার দাম ৪৫ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা। বাইরনের নামে ছিল ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার সোনা আর স্ত্রীর নামে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার সোনা। সব মিলিয়ে বাইরনের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৫৩ লক্ষ ১২ হাজার টাকা আর স্ত্রীর সম্পত্তি ছিল ৩ কোটি ৩১ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা। এছাড়া বাইরনের রয়েছে ৫০ লক্ষ টাকার জমি, বাড়িও।