Tony D’George: একাই সন্তানকে বড় করেছেন মা, সেই ছেলেই আজ ভারতের সবথেকে বড় বাধা

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত শুরু করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। এই দলটি একতরফাভাবে প্রথম ম্যাচ জিতেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে হারের মুখে পড়তে হয় টিম…

Tony D'Georg

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত শুরু করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। এই দলটি একতরফাভাবে প্রথম ম্যাচ জিতেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে হারের মুখে পড়তে হয় টিম ইন্ডিয়াকে। দক্ষিণ আফ্রিকাও একতরফা ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা আনে। দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন ওপেনার টনি ডি’জর্জি (Tony D’George)। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে দলকে জয় এনে দেন জর্জি। তৃতীয় ম্যাচটি নির্ণায়ক ম্যাচ এবং এই ম্যাচে একটি জয়ই সিরিজের বিজয়ী নির্ধারণ করবে। ভারত সিরিজ জয়ের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা জর্জির ভালো খেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস রয়েছে। এমন আত্মবিশ্বাস প্রতিটি ব্যাটসম্যানেরই প্রয়োজন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তিনি যে ধরনের ইনিংস খেলেছেন তা প্রমাণ করেছে যে তিনি ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে কতটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। যদি তিনি তৃতীয় ম্যাচেও অনুরূপ ফর্ম প্রদর্শন করেন তাহলে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে ভারতীয় বোলারদের।

জর্জি দীর্ঘদিন অপেক্ষার করার পর নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পেয়েছেন। এর কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক। জর্জির আগে ডি কক ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ওপেনিং করতেন, কিন্তু এখন তিনি ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা দলে তাকে ডি ককের বিকল্প হিসেবে দেখা হয় এবং তিনি তার প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন ইতিমধ্যে। এখন পর্যন্ত জর্জি চারটি ওয়ানডে খেলেছেন, যেখানে তার গড় ৬৫। তার চেয়েও বড় কথা, তিনি যে পরিপক্কতার সঙ্গে ব্যাটিং করেছেন তা সবাইকে আরও বেশি মুগ্ধ করেছে। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুটি টেস্ট ম্যাচও খেলেছেন, যার মধ্যে তার নামে একটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে।

জর্জির এই যাত্রা সহজ ছিল না। তাকে বড় করার জন্য তার মা অনেক সংগ্রাম করেছেন। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার মা নাতাশা একাই তাকে বড় করেছেন ছেলেকে। তাই জর্জি তার মায়ের জন্য অনেক কিছু করতে চান।

জর্জি অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায় থেকে শিরোনামে আসতে শুরু করেন। এখান থেকে নিজের দেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে এবং ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দলের অধিনায়কত্ব করেন। ১৮ মার্চ, ২০০৩ তারিখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তিনি যে ধরনের ইনিংস খেলেছেন তা দেখে মনে হচ্ছে তৃতীয় ওয়ানডেতে তিনি ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে প্রমাণিত হবেন।